সদর থানার ওসি শেখ মুনীর-উল-গীয়াস জানান, শহরের জইল্ল্যার মোড় এলাকা থেকে ফরিদা বেগম (৩৮) নামে এই নারীর লাশ উদ্ধার করেন তারা।
ফরিদা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের দক্ষিণ বাইশারী এলাকার ফজলুর রহমানের মেয়ে।
ফরিদার ভারি রাফিজা ইয়াসমিন বলেন, শনিবার সকালে কক্সবাজার শহরে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন ফরিদা। পরে তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। সোমবার সকালে মোহাম্মদ আলমগীর নামে এক ব্যক্তি ফোন করে ফরিদার মৃত্যুর খবর দেন।
আলমগীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রোববার সকালে নোমান নামে এক ব্যক্তি কক্সবাজার সদর হাসপাতাল থেকে এক নারীর লাশ নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী এলাকায় নেওয়ার জন্য তার লাশ বহনের ফ্রিজার গাড়িটি ভাড়া করেন।
“লাশ নিয়ে আমরা কক্সবাজার শহরের সুগন্ধা পয়েন্ট মোড় এলাকায় পৌঁছালে নোমান পানি কেনার কথা বলে গাড়ি থেকে নামেন। পরে আর ফিরে আসেননি নোমান। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরও তার খোঁজ না পেয়ে আমি সিদ্ধান্তহীন হয়ে পড়ি। পরে লাশসহ গাড়িটি নিয়ে শহরের জইল্ল্যার মোড়ে রেখে দিই। সোমবার সকাল পর্যন্ত লাশসহ গাড়িটি সেখানেই ছিল। ”
পরে তিনি গাড়ির দরজা খুলে লাশের সঙ্গে একটি ব্যাগ দেখতে পান জানিয়ে বলেন, “ব্যাগে একটি মোবাইল ফোন পাই। একটি নম্বর থেকে বেশ কয়েকটি মিসকল দেখে ওই নম্বরে ফোন করি। পরে নারীর স্বজনরা পুলিশ নিয়ে জইল্ল্যার মোড়ে আসে।”
আলমগীর লাশ নিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পৌঁছে দেন।
ওসি মুনীর বলেন, প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ জানতে পারেনি পুলিশ। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করতে গিয়ে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। লাশ ময়নাতদন্তের পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
পরিবার এজাহার দিলে তদন্তের পর মামলা নথিবদ্ধ করা হবে বলে জানান ওসি মুনীর।
নোমানের সঙ্গে ফরিদার সুসম্পর্ক ছিল বলে জানিয়েছেন ফরিদার ভাবি রাফিজা ইয়াসমিন।
তিনি বলেন, প্রায় ১০ বছর আগে ফরিদার সঙ্গে তার স্বামীর ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তাদের ১৪ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। ছেলেকে দেশে রেখে ফরিদা সৌদি আরব যান চাকরি নিয়ে। বছর তিনেক আগে আবার দেশে ফিরে আসেন ফরিদা।