মঙ্গলবার বিকেলে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার সদর ইউনিয়নের জাটিগ্রামে এ প্রতিযোগিতার ঘোড়দৌড় দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ আসতে দেখা গেছে।
একত্রিশটি ঘোড়ার অংশ গ্রহণে এ প্রতিযোগিতাকে ঘিরে বসে বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের গ্রামীণ মেলাও।
প্রতিযোগিতায় পোড়াখালীর হাজিউজ্জামানের ঘোড়া প্রথম, রানাগাতির আক্কাস মল্লিকের ঘোড়া দ্বিতীয়, যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার আনোয়ার শেখের ঘোড়া তৃতীয় এবং খুলনার বৈঠাখালীর নাদির শেখের ঘোড়া চতুর্থ স্থান অর্জন করে। তাদের পাঁচ হাজার, চার হাজার, তিন হাজার টাকা করে পুরষ্কার দেওয়া হয়।
নড়াইল থেকে ঘোড়দৌড় দেখতে আসা আসলাম শেখ বলেন, অনেকদিন আগে ঘোড়দৌড় দেখেছি। এখন আর কোথাও ঘোড়দৌড় হয় না। এ আয়োজনের কথা জানতে পেরে দেখতে এসেছি।
কলেজছাত্রী কবিতা বলেন, ঘোড়দৌড় কোনোদিন দেখিনি, তাই দেখতে এসেছি।
“অনেক মানুষের ভিড় হয়েছে। আমার মতো অনেকেই ঘোড়দৌড় দেখতে এসেছে।”
ঘোড়দৌড়ের পাশাপাশি মেলা থেকে অনেক কিছু কিনেছেন।
এ প্রতিযোগিতার আয়োজক ইউপি সদস্য সৈয়দ শরিফুল ইসলাম বলেন, গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য ঘোড়দৌড় হারিয়ে যেতে বসেছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে স্থানীয় যুবলীগের উদ্যোগে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
তিনি জানান, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে ঘোড়া নিয়ে আসেন ঘোড়ার মালিকরা।
“ঘোড়া জোগাড় করা অনেক কঠিন। দেশের বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য ৩০টি ঘোড়ার মালিককে রাজি করানো হয়। তাদের আসা-যাওয়া খাবার খরচসহ অনেক টাকা দিতে হয়েছে। খরচ হলেও হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য মানুষের মাঝে কিছুটা হলেও ফিরিয়ে আনতে পেরেছি এটাই আনন্দের।”
প্রায় ১০ হাজার মানুষ এ প্রতিযোগিতা উপভোগ করেছেন বলে তার ধারণা।