দশ
দিনের এ আয়োজনের প্রথম দিন জাতির জনকের জন্মদিনে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের অনুষ্ঠানে
যোগ দেবেন তিনি।
সকাল
সাড়ে ৮টার দিকে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানাবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এ কে আব্দুল মোমেন সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ১৭-১৯ মার্চ এই সফরে মালদ্বীপের
প্রেসিডেস্টের সঙ্গে থাকবেন তার স্ত্রী ফাজনা আহমেদ, পররাষ্ট্রমন্ত্ৰী আব্দুল্লাহ শহীদ
ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্ৰীসহ মোট ২৭ জনের একটি প্রতিনিধি দল।
ঢাকায়
পৌঁছে তিনি সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে এবং ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে
শ্রদ্ধা জানাবেন।
বুধবার
বিকালে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী
উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ। রাষ্ট্রপতি আবদুল
হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও থাকবেন ওই অনুষ্ঠানে।
বৃহস্পতিবার
সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। সন্ধ্যায়
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকের পর তার আতিথেয়তায় বঙ্গভবনে একটি রাষ্ট্রীয় ভোজে যোগ দেবেন
তিনি। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও উপভোগ করবেন। সফর শেষে ওই দিন রাতেই দেশে ফিরে যাবেন
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট।
রাষ্ট্রপতির
প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানিয়েছেন, দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের উপস্থিতিতে কয়েকটি
সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।
দশ
দিনের এই আয়োজনে ১৯ মার্চ শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে, ২২ মার্চ নেপালের
প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী, ২৪ মার্চ ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং
এবং ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যোগ দেবেন।
দশ
দিনব্যাপী এ আয়োজনে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানদের বক্তব্য ও ভিডিও বার্তা
ছাড়াও বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর সাংস্কৃতিক দলের পরিবেশনা থাকবে।
২৬
মার্চ বাংলাদেশ ও ভারতের সরকার প্রধানের উপস্থিতিতে ‘বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল চিত্রপ্রদর্শনীর’
উদ্বোধন হবে; যা পরে ঢাকাসহ দেশের প্রধান শহরগুলোতে প্রদর্শন করা হবে।