মঙ্গলবার বিকালে ফটিকছড়ি
উপজেলার পাইন্দং ইউনিয়নের উত্তর পাইন্দংয়ের হজরত ঈমাম-এ-আযম আবু হানিফা (রা:) গাউছিয়া
সুন্নিয়া হেফজ ও এতিমখানা’ থেকে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর
আলমের (৩৫) বাড়ি কুমিল্লার চান্দিনায়।
জাহাঙ্গীর আলম একাই
ওই মাদ্রাসাটির শিক্ষক। তিনি মাদ্রাসাটির পরিচালকও।
গত ৩ জানুয়ারি মাদ্রাসায়
ভর্তি হওয়া শিশুটির (৮) দাবি, একাধিকবার তাকে মারধর করা হয়েছে। আগে একবার মারধরের বিষয়টি
জানালেও তাকে আবার মাদ্রাসায় রেখে গিয়েছিলেন তার বাবা।
সোমবার আবার তাকে দেখতে
মাদ্রাসায় গেলে শিশুটির শারীরিক অবস্থা দেখে হাসপাতালে নিয়ে যান ওই ব্যক্তি।
এরপর মঙ্গলবার বিকালে
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে গিয়ে লিখিত অভিযোগ দেন শিশুটির বাবা।
ইউএনও বিষয়টি পুলিশকে জানালে ওই মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়।
ফটিকছড়ির ইউএনও মো.
সায়েদুল আরেফীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আজ বিকালে ছেলেটির বাবা এসে লিখিত
অভিযোগ করেন। সোমবার তিনি ছেলেকে দেখতে মাদ্রাসায় যান। সেখানে ছেলেকে দেখে তিনি বুঝতে
পারেন, শারীরিক ও মানসিকভাবে অনেক নির্যাতন করা হয়েছে।
“এরপর তিনি মাদ্রাসা
থেকে ছেলেকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যান। চিকিৎসা শেষে ছেলেকে বাসায় নিয়ে যান। হাটহাজারীর
ঘটনার বিষয়টি জানতেন বলে তিনি আমার কাছে অভিযোগ নিয়ে আসেন। আগেও ছেলেটি টেলিফোনে একবার
মারধরের বিষয়টি তার বাবাকে জানিয়েছিল।”
লিখিত অভিযোগে শিশুটির
বাবা জানান, শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম তার ছেলেকে বেধড়ক মারধর করেছেন। অভিযোগের সঙ্গে হাসপাতালের
চিকিৎসা প্রতিবেদনও জমা দেন শিশুটির বাবা।
অভিযোগ পেয়ে বিষয়টি
ফটিকছড়ি থানার ওসিকে জানান ইউএনও। এরপরই ওই মাদ্রাসা থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার
করা হয়।
ফটিকছড়ি থানার পরিদর্শক
(তদন্ত) মো. শামসুদ্দিন বলেন, রাতে শিশুটির বাবা বাদি হয়ে মামলা করেছেন।
“শিশুটি বলছে তাকে
দুবার বেশি মারধর করা হয়। আগে একবার তার বাবাকে জানালেও তিনি ছেলেকে আবারও মাদ্রাসায়
রেখে যান। সবশেষ সোমবার টেলিফোনে মারধরের বিষয়টি বাবাকে জানায় সে। তার বাবা এসে ছেলের
শরীরে মারের দাগ দেখতে পান। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করান।”
পুলিশ কর্মকর্তা মো.
শামসুদ্দিন জানান, একটি ঘর ভাড়া নিয়ে ওই মাদ্রাসা চালাচ্ছেন জাহাঙ্গীর আলম। সেখানে
শিক্ষার্থীন সংখ্যা ১৫-১৮ জন।
“জাহাঙ্গীর আলম মারধরের
বিষয়টি স্বীকার করেছে।”
গত ৯ মার্চ হাটহাজারী
পৌর এলাকার আল মারকাযুল কোরআন ইসলামিক অ্যাকাডেমির এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির
ইয়াহিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওই শিশুর বাবাও শিক্ষকের
বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
মায়ের পেছন পেছন যাওয়ায় ছাত্রকে বেধড়ক পেটালেন মাদ্রাসা শিক্ষক
হাটহাজারীর সেই মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা, জানতে চায় হাই কোর্ট