রাজধানীর একটি হোটেলে বেজার পক্ষে
স্বাক্ষরকৃত চুক্তি হস্থান্তর করেন বেজার নির্বাহী সদস্য এরফান শরীফ ও আব্দুল আজিম
চৌধুরী। বিজিএমইএর পক্ষে চুক্তিপত্র গ্রহণ করেন ৪১টি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও
ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা।
একই অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব
শিল্পনগরীতে সমুদ্রমুখী অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে
প্রস্তুতিমূলক জরিপ পরিচালনায় বেজার সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে জাপান
ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।
এতে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন
চৌধুরী ও জাইকার বাংলাদেশ প্রধান হায়াকায়া ইউহো স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, “এ উদ্যোগের ফলে বিজিএমইএ এবং বেজার মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক দৃঢ় হবে। ভবিষ্যতে
এ গার্মেন্টস ভিলেজের সফল বাস্তবায়নে বেজা ও বিজিএমইএ একসাথে কাজ করবে এবং
পরিকল্পিত শিল্প বাস্তবায়নের পথ সুগম হবে।”
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন
চৌধুরী বলেন, “বিজিএমইএ দ্রুত শিল্প পার্ক স্থাপন
করলে ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরের উপর জনস্রোতের চাপ কিছুটা হলেও কম হবে। এছাড়া বন্দরের
পার্শ্ববর্তী হওয়ার কারণে পরিবহন ব্যয়ও হ্রাস পাবে। এতে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব
বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে।”
আর জাইকার সাথে চুক্তি হওয়ায়
আগামীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে জাপানের বিনিয়োগ আরও বাড়বে বলে প্রত্যাশা
করেন তিনি।
বিজিএমইএ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব
শিল্পনগরে গার্মেন্টস এবং গার্মেন্টস একসেসোরিজ সেক্টরে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার
বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা নিয়েছে, যার ফলে প্রায় ৩ লাখ লোকের কর্মসংস্থান ও প্রায় ৫
বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের পণ্য উৎপাদনের সুযোগ তৈরি হবে।
বিজিএমইএর সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, “এই চুক্তির মাধ্যমে বিজিএমইএর দীর্ঘ দিনের চাওয়া পূরণ হল।
আমি আশা করি বিজিএমইএর যে সকল প্রতিষ্ঠান চুক্তি স্বাক্ষর করেছে তারা দ্রুত শিল্প
নির্মাণের কাজ শুরু করবে এবং বেজা তাদের সকল সেবা প্রদান করবে।”
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরের
উন্নয়নে অংশীদার হওয়ার আশা প্রকাশ করে অনুষ্ঠানে জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো
বলেন,
“জাপানি বিনিয়োগ আকর্ষণে জাপানীজ ইকোনমিক জোন
স্থাপনে বেজার সাথে একসাথে কাজ করছে জাপান।”
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ও মিরসরাই
উপজেলা এবং ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার প্রায় ৩০ হাজার একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে
বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর। ইতোমধ্যে এতে ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ নিশ্চিত হয়েছে
বলে জানিয়েছে বেজা।
এছাড়া শেখ হাসিনা সরণি নির্মাণ, সুপারডাইক নির্মাণ, গ্যাস সংযোগ প্রদান, বিদ্যুৎ সরবরাহের
কাজ শেষ হয়েছে। এ শিল্প নগরে বর্তমান ১৩টি শিল্প নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে, আরও ১৫ টি প্রতিষ্ঠান শিল্প নির্মাণের প্রাথমিক কাজ শুরু
করেছে।
শিল্পনগরটিতে ১৫ লাখ মানুষের
কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির প্রত্যাশা করছে কর্তৃপক্ষ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরের
উন্নয়নে পানি সরবরাহ প্রকল্প নেয়া হয়েছে জানিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব
হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, “খুব দ্রুত এ
প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।”
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জাতীয় রাজস্ব
বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো: রহমাতুল মুনিম, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তাফিজুর রহমান।