সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সোমবার বিকেল থেকে মাইক্রোসফট ৩৬৫-এ প্রবেশ করতে সমস্যা হচ্ছিল ব্যবহারকারীদের। বিভ্রাট কবলিত সেবার তালিকায় ছিল অ্যাজিউর, ডায়নামিক্স ৩৬৫। এ সময়টিতে সমস্যা হতে দেখা গেছে মাইক্রোসফট টিমস, এক্সচেইঞ্জ অনলাইন ইমেইল, ফর্মস এবং অন্যান্য সেবাগুলোতেও।
পরে এক টুইটে মাইক্রোসফট জানায়, সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন গোটা বিশ্বের ব্যবহারকারীরাই। “আমরা অথেনটিকেশন সিস্টেমে সাম্প্রতিক পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট সমস্যাটি চিহ্নিত করেছি। প্রভাব কমাতে আপডেট ফিরিয়ে নিচ্ছি।” পরে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, সমস্যা যত তাড়াতাড়ি সমাধান হওয়ার কথা ছিল, তার চেয়েও বেশি সময় লাগছে।
সোমবার বাংলাদেশ সময় ভোর ৩টার দিকে মাইক্রোসফট জানায়, সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নিয়েছে তারা। ব্যবহারকারীরা এক ঘণ্টার মধ্যেই “পুরোপুরি প্রতিকার” দেখতে পাবেন। ফের এক ঘণ্টা পর প্রতিষ্ঠানটি জানায়, “মাইক্রোসফট৩৬৫ সেবার পুনরুদ্ধার অব্যাহত রয়েছে এবং ত্রুটির মাত্রা আগের চেয়ে কমেছে।”
করোনাভাইরাস বাস্তবতায় বিশ্বের বহু মানুষকে নির্ভর করতে হচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সফটওয়্যারের উপর। গত বছর থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বিভ্রাটের কবলে পড়েছে একাধিক প্রাতিষ্ঠানিক কাজের সফটওয়্যার। ফলে বিপাকে পড়েছেন ব্যবহারকারীরা, এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে অসন্তুষ্টিও প্রকাশ করেছেন তারা।
গতকালও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সোমবার টুইটারে ট্রেন্ডিং অংশে চলে এসেছিল ‘মাইক্রোসফট টিমস’। অসংখ্য ব্যবহারকারী অভিযোগ জানিয়েছেন সেবাটির বিভ্রাটের কারণে কাজ করতে পারছেন না বলে। অনেকে আবার একই কারণে প্রকাশ করেছেন আনন্দ। এরকমই এক ব্যবহারকারী টুইটারে লিখেছেন, “মাইক্রোসফট টিমস পাঁচটা পর্যন্ত বিভ্রাটের কবলে থাকলে ভালো হবে।”
ডাউনডিটেক্টরের তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশ স্থানীয় সময় রাত ২টা নাগাদ ৩০ হাজারেরও বেশি অভিযোগ এসেছে মাইক্রোসফট টিমসকে নিয়ে। পরে ক্রমশ অভিযোগের সংখ্যা কমে আসে। এক্সবক্স লাইভ, মাইক্রোসফট আউটলুক এবং অফিস ৩৬৫ সংক্রান্ত সমস্যা নিয়েও শত শত ব্যবহারকারী অভিযোগ করেছেন।