গত কয়েকদিনে
জেলার সদর হাসপাতালে সব বয়সের ডায়রিয়া রোগীদের ভিড় বেড়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
কিন্তু পর্যাপ্ত
বিছানা না থাকায় ডায়রিয়া রোগীদের মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া
গেছে।
শেরপুর জেলা
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. খায়রুল কবির সুমন জানান, শীতের শেষে
হাসপাতালে ক্রমেই ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত
৪০ থেকে ৫০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। এর মধ্যে শিশুদের সংখ্যাই
বেশি।
তিনি বলেন, “এই সময়ে ডায়রিয়ার প্রবনতা একটু
বেশি থাকে। এটা নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। বাড়িতে ডায়রিয়া শুরুর সঙ্গে বাচ্চাদের ওরস্যালাইন,
চিড়ার পানি ও ডাবের পানি খাওয়ানো শুরু করলে ভাল হয়ে যাবে। বেশি অসুস্থ হলে হাসপাতালে
নিয়ে আসতে হবে।”
এদিকে ডায়রিয়া
ওয়ার্ডে চিকিৎসা না দেওয়ার অভিযোগ করে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অনেকে। পাশাপাশি
এ ওয়ার্ডের টয়লেট অপরিচ্ছন্ন থাকায় এতে রোগীরা আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে বলেও অভিযোগ
পাওয়া গেছে।
সদর হাসপাতালে
হাছনা নামের এক শিশুর অবিভাবক কামারের চরের চৌধুরী বাড়ির মনিজা বেগম বলেন, “ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় সোমবার
আমার বাচ্চাকে হাসপাতালে ভর্তি করি। কিন্তু এখনও চিকিৎসা দেওয়া হয় নাই; ডাক্তার এহন
পর্যন্ত আসতাছে না।”
দিঘারপাড় গ্রামের
বেহুলা খাতুন বলেন, “ডায়রিয়া অইছে। হাসপাতালে ভর্তি
অইছি।কিন্তু বাথরুমের অবস্থা খারাপ; পরিস্কার করে না। বাথরুমের অবস্থা খারাপ থাকার
শরীর আরও বেশি অসুস্থ অইয়া গেছে গা। এখানে চিকিৎসাও ঠিকমত করে না।”