এ ঘটনায় ১৪ সৈন্য আহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে আট জনের অবস্থা গুরুতর বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে মালির সেনাবাহিনী।
এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, সোমবার উত্তরাঞ্চলীয় গাও অঞ্চলে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে এবং গোলাগুলিতে সাত জঙ্গিও নিহত হয়েছে।
জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো ২০১২ সালে মালির উত্তরাঞ্চল দখল করে নিয়েছিল। পরের বছর ফ্রান্সের নেতৃত্বাধীন বাহিনী তাদের ওই অঞ্চল থেকে হটিয়ে দেয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তারা ফের উত্তরাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে হামলা চালানো শুরু করেছে।
এসব জঙ্গিদের অধিকাংশই আল কায়েদা অথবা ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে জড়িত বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন এন্ড ইভেন্ট ডাটা প্রজেক্টের (এসিএলইডি) সংকলিত তথ্য অনুযায়ী, বিভিন্ন হামলার কারণে গত বছর মালিতে সবচেয়ে বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জঙ্গি হামলা, প্রতিদ্বন্দ্বী নৃগোষ্ঠীগুলোর পাল্টাপাল্টি হামলা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের কারণে এ রেকর্ড হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
জঙ্গিরা প্রতিবেশী বুরকিনা ফাসো ও নাইজারে তাদের তৎপরতা বিস্তৃত করার জন্য মালিকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে। তাদের নিয়ন্ত্রণের জন্য মালিতে মোতায়েন আফ্রিকার আঞ্চলিক বাহিনী, ফ্রান্সের ও জাতিসংঘ বাহিনীর পদক্ষেপের তোয়াক্কা না করেই তারা তাদের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।