বুধবার দুপুরে আটোয়ারী উপজেলা থেকে এটিকে উদ্ধার করে প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তারা চিকিৎসা দিয়েও বাঁচাতে পারেননি।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, “নীলগাইটি সম্ভবত ভারতীয় কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় আহত হয়েছে।
“একই সাথে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ায় হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছে।”
নীলগাইটির মৃত্যুর পর প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছেন বলেও জানান তিনি।
তোড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসান হাবিব আল আজাদ জানান, ইউনিয়নের দাঁড়খোর সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত থেকে নীলগাইটি বাংলাদেশে ঢোকে।
এলাকার লোকজন ধাওয়া করলে নীলগাইটি প্রায় ১০ কিলোমিটার পথ দৌড়ে মির্জাপুর ইউনিয়নের খোঁজপাড়ায় গিয়ে আশ্রয় নেয়। সেখানেও তাড়া খেয়ে একটি খাল পার হওয়ার সময় গুরুতর আহত হয় নীলগাইটি।
“সে সময় এটি হাপাতে থাকে।”
এ খবর পেয়ে পুলিশ উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসে খবর দেয়। প্রাণী সম্পদ অফিসের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে নীল গাইটির চিকিৎসা শুরুর কিছুক্ষণ পর প্রাণিটি মারা যায় বলে জানান তিনি।
পঞ্চগড় সামাজিক বনায়ন নার্সারি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হৃষিকেশ চন্দ্র রায় জানান, বাংলাদেশে নীল গাই একটি ‘বিলুপ্ত প্রজাতির প্রাণী’। ভারতের কিছু কিছু জায়গায় বিরল এ প্রাণী দেখা যায়।
“অনেক আগে এ প্রাণীটি বাংলাদেশে দেখা যেত, তবে বর্তমানে তেমন দেখা যায় না। এটি ভারত থেকে এসেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি।”
তিনি জানান, ধূসর বর্ণের পুরুষ প্রজাতির নীল গাইটির প্রায় আড়াই থেকে তিন মণ ওজন হবে। এটির উচ্চতা প্রায় ৮ ফুট এবং চওড়া ৪ ফুট।
এই নীল গাইটিকে টাঙ্গাঈলের ভূঞাপুরে বঙ্গবন্ধু সেতু আঞ্চলিক মিউজিয়ামে সংরক্ষণ করার জন্য খবর দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে নীলগাই উদ্ধার হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক জনতা দেখার জন্য ওই এলাকায় ভিড় করতে শুরু করে।