ক্যাটাগরি

অনুমতি ছাড়াই কোভিড-১৯ টিকা নিয়ে এভারেস্টে বাহরাইনের প্রিন্স

বাহরাইনি প্রিন্স মোহাম্মদ হামাদ মোহাম্মদ আল-খলিফা সোমবার অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ২ হাজার ডোজ নিয়ে নেপাল পৌঁছান বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

নেপালে ওষুধ আমদানির ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের প্রয়োজন পড়ে।

নেপালি গণমাধ্যমকে দেশটিতে অবস্থিত বাহরাইনের দূতাবাস জানিয়েছে, যুবরাজের দল যে ভ্যাকসিন নিয়ে এসেছে তা তারা গোর্খা জেলার একটি গ্রামের বাসিন্দাদের দান করতে চান।

প্রিন্স আল-খলিফার নেপাল সফরের দায়িত্বে থাকা কোম্পানি সেভেন সামিট ট্রেকের এক মুখপাত্র থানেশ্বর গুরগাইন মঙ্গলবার হিমালয়ান টাইমসকে বলেছেন, বাহরাইনের যুবরাজ ও তার সঙ্গে আসা ব্যক্তিরা ৭দিন কোয়ারেন্টিনে থাকার পর গোর্খা জেলার চুমনুরবি পৌরসভায় যাবেন।

“সেখানে তারা সামাগাঁও গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ টিকার দুই হাজার ডোজ বিতরণ করবেন। প্রিন্স এবং তার দলের এরপর এভারেস্টে ওঠার পরিকল্পনা রয়েছে,” বলেন গুরগাইন। 

নেপালের ওষুধ প্রশাসন বিভাগ জানিয়েছে, কীভাবে ওই ভ্যাকসিনগুলো দেশে এসেছে তা নিয়ে তারা তদন্ত শুরু করেছে।

“ভ্যাকসিনগুলো কিভাবে নেপাল এলো তা নিয়ে আনুষ্ঠানিক কথাবার্তা শুরু করেছি আমরা। ভ্যাকসিনগুলোর ব্যাপারে নেপালের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও ওষুধ প্রশাসন বিভাগ মোটেই অবগত ছিল না। আমাদের বলা হয়েছিল, (বাহরাইনের) ওই দল গতকাল সন্ধ্যায় পৌঁছাবে। শুনেছি তারা দুই হাজার ডোজ টিকা এনেছেন। ব্যাপারটি নিয়ে তদন্ত চলছে,” বিবিসিকে এমনটাই বলেছেন নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের এক মুখপাত্র।

নেপালে কোনো ওষুধ নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমদানিকারককে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হয়; ওষুধগুলো যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হবে এ সংক্রান্ত নিশ্চয়তাও দিতে হয় তাদের।

দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটি গত ২৭ জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু করেছে। টিকার ক্ষেত্রে তারা ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকেই প্রাধান্য দিচ্ছে। দেশটি এখন ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের ভ্যাকসিন দিচ্ছে।