এখন পর্যন্ত চার হাজার একশ’রও বেশি শিশু নাম প্রকাশ না করে নিজ নিজ হয়রানি ও নির্যাতনের ঘটনা জানিয়েছেন। এর মধ্যে নয় বছর বয়সী কন্যাশিশুও রয়েছেন।
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা প্রকাশের মধ্য দিয়ে চলমান ‘ধর্ষণ সংস্কৃতি’র পর্দা উন্মোচন করছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযুক্তরা কোন স্কুল বা বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছেন, তা-ও জানিয়ে দিচ্ছেন তারা।
যুক্তরাজ্য কেন্দ্রিক এই সাইটটিতে এরই মধ্যে ইটন, সেইন্ট পল’স এবং ল্যাটিমার আপার স্কুলের মতো খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানের নাম উঠে এসেছে ভুক্তভোগীদের বয়ানে। ব্যক্তি মালিকানার পাশাপাশি পাবলিক স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উঠে এসেছে বলেও এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বিবিসি।
‘এভরিওয়ান’স ইনভাইটেড’ ওয়েবসাইট এবং ওই সাইটটির ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ভুক্তভোগীদের হয়রানির বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছে। এরকম অভিজ্ঞতার মধ্যে বিভিন্ন পার্টিতে নেশাগ্রস্থ করে ধর্ষণ এবং সে ছবি মেসেজিং প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনাও উঠে এসেছে।
“বিবৃতিগুলো ধর্ষণ সংস্কৃতির গোমর ফাঁস করে দিচ্ছে এবং যুক্তরাজ্যে তরুণ বয়সীদের মধ্যে যৌন সহিংসতা কত দূর পৌঁছেছে তা জানিয়ে দিচ্ছে।” – বলেছেন এভরিওয়ান’স ইনভাইটেড সাইটের প্রতিষ্ঠাতা সোমা সারা।
“আমরা যদি সুনির্দিষ্ট কিছু ডেমোগ্রাফির দিকে আঙুল তুলি বা ব্যক্তিক বা সংস্থাকে আলাদা করি, তাহলে আমরা এ ঘটনাগুলোকে অসঙ্গতি হিসেবে দেখার ঝুঁকিতে ফেলব… আদতে এ সমস্যাগুলো বিস্তৃত, সবখানেই চলছে।” – যোগ করেন সারা।
তিনি আরও জানান, সবারই এ ব্যাপারে কাজ করার ও এটিকে নির্মুল করে ফেলার দায়িত্ব রয়েছে। “নিজেদের শিশুদের সঙ্গে এ ব্যাপারগুলো নিয়ে কীভাবে যোগাযোগ এবং আলোচনা করবে, তা শেখাটা শিক্ষক ও পিতামাতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।” – বলেছেন সারা।
নিজ বিবৃতিতে অন্তত ৩৫ জন ধর্ষণের শিকার হওয়ার দাবি তুলেছেন। স্কুল বা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নেওয়া বিবৃতিগুলো থেকে সময়ের ব্যাপারটি জানা সম্ভব হয়নি।
এরই মধ্যে এ সম্পর্কে জেনেছেন সেইন্ট পল’স-এর হাই মাস্টার স্যালি-অ্যান হুয়াঙ। তিনি প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে লেখা এক চিঠিতে বলছেন, “স্কুল এ ধরনের কর্মকাণ্ডে একদমই সম্মতি দেয় না, এবং এ ব্যাপারটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নেয়।”
তিনি আরও জানিয়েছেন, বিবৃতিতে কোনো নাম এবং বিস্তারিত না থাকায় অভিযোগগুলো পুলিশকে জানানো হয়নি।