বুধবার দুপুরে
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার কাউয়ার চর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হৃদয় হোসেন
(১১) দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের কাউয়ারচর গ্রামের জিনাত আলীর ছেলে। সে কাউয়ার চর সরকারি প্রাথমিক
বিদ্যালয়র পঞ্চম শ্রেণিরর ছাত্র ছিল।
এ বিষয়ে রৌমারী
হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. আরিফ হোসেন বলেন, শিশুটিকে বিষধর সাপে কেটেছিল এবং
হাসপাতাল আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
নিহতের বাবা জিনাত
আলী জানান, বুধবার দুপুরে হৃদয় বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে অন্য শিশুদের সাথে খেলতে গেলে তাকে সাপে কাটে।
তার চিৎকারে
আশেপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে রৌমারী হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক
তাকে মৃত ঘোষণা করে।
উপজেলায় নেই সাপে কাটার চিকিৎসা
এদিকে উপজেলা
পর্যায়ে সাপে কাটার চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই বলে জানিয়েছেন কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন
ডা. হাবিবুর রহমান।
ডা. হাবিবুর বলেন,
সাপে কাটা রোগীর জন্য ‘আইসিইউ’ সাপোর্ট প্রয়োজন হয়। সেই ব্যবস্থা উপজেলা পর্যায়ে
না থাকার কারণে এ সংক্রান্ত ভ্যাকসিন উপজেলা পর্যায়ে সরবরাহ করা হয় না।
উপজেলা পর্যায়ে
সাপে কাটা রোগী পেলে প্রাথমিক ‘চিকিৎসা দিয়ে’ জেলা সদরে পাঠিয়ে দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা
বলেন তিনি।
স্থানীয় বীর
মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান
অভিযোগ করে বলেন, “রৌমারী হাসপাতালে বিষধর সাপে কাটা রোগীর অবস্থা পরীক্ষার যন্ত্রপাতি এবং ভ্যাকসিন না থাকায় প্রতিবছর চিকিৎসা অভাবে
প্রাণ হারাচ্ছে অনেকে।”
উপজেলা পর্যায়ে সাপে
কাটার ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য দাবি জানান তিনি।