এজন্য তিনি ‘পরীক্ষা, রোগীর সংস্পর্শে আসাদের খুঁজে বের করা এবং চিকিৎসা’ ফর্মুলা অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছেন।
বুধবার বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে মোদী এ কথা বলেন বলে জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
তিনি বলেন, ‘‘কয়েকটি রাজ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে। দেশের ৭০টি জেলায় এই বৃদ্ধির হার ১৫০ শতাংশেরও বেশি। আমাদেরকে এখনই করোনাভাইরাস সংক্রমণ দ্বিতীয়বার চূড়ায় উঠা আটকাতে হবে।
‘‘করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা এখন যে অবস্থানে পৌঁছেছি, আমরা এখন যে আত্মবিশ্বাস অর্জন করেছি সেটা শুধুমাত্র দায়িত্বজ্ঞানহীনতার কারণে হেলায় হারিয়ে যেতে দেওয়া উচিত হবে না।”
এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদী আরটি-পিসিআর পরীক্ষা বাড়ানোর উপরও জোর দেন; বিশেষ করে ছোট শহরগুলিতে।
বলেন, ‘‘গত এক বছর ধরে আমরা যতটা গুরুত্বের সঙ্গে পরীক্ষা, রোগীর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে আইসোলেশনে রাখা এবং চিকিৎসা সেবা দিয়েছি আমাদের এখনো সেভাবেই সব কিছু করতে হবে। শনাক্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা প্রতিটি মানুষকে যত দ্রুত সম্ভব খুঁজে বের করতে হবে এবং আরটি-পিসিআর পরীক্ষার হার অবশ্যই ৭০ শতাংশের উপরে রাখতে হবে।”
গত ১৬ জানুয়ারি থেকে ভারতে কোভিড-১৯ এর টিকা দেওয়া শুরু হয়।
টিকাদান কর্মসূচি নিয়ে মোদী বলেন, ‘‘ভারত এক দিনে ৩০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা আগেই পেরিয়ে গেছে। যদিও কয়েকটি রাজ্য থেকে ১০ শতাংশ টিকা নষ্ট হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
‘‘টিকার ডোজ নষ্ট হওয়ার বিষয়টিকে অবশ্যই অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। অবশ্যই টিকা নষ্ট হওয়া শূন্যে নামিয়ে আনতে হবে। এজন্য সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই প্রয়োজনে টিকাদান কেন্দ্র বাড়াতে হবে।”
মোদীর সঙ্গে এই ভার্চুলায় বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল বৈঠকে অংশ নেননি।