সাইফ আম্মার মোহাম্মদ হাসেল আলনেয়াদি (৩৯) নামের এই বিদেশির লাশ বুধবার নগরীর আবাসিক হোটেল ‘এশিয়ান এসআর’ থেকে পুলিশ উদ্ধার করে।
আমিরাতের এ নাগরিক অসুস্থতার জন্য হুইল চেয়ারে চলাফেরা করতেন বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) পলাশ কান্তি নাথ।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “সালাউদ্দিন নামের এক প্রবাসীর সঙ্গে গত সোমবার আলনেয়াদি বাংলাদেশে এসে স্টেশন রোড এলাকার এশিয়ান এসআর হোটেলের ৭০৪ নম্বর রুমে উঠেছিলেন।
“বুধবার ঘুম থেকে না উঠায় সালাউদ্দিন তাকে ডাকতে গিয়ে শরীর ঠাণ্ডা দেখতে পান। সালাউদ্দিন বিষয়টি হোটেল কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা পুলিশে খবর দেয়। পরে আমিরাতের ওই নাগরিককে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
সালাউদ্দিনের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা পলাশ বলেন, “অসুস্থতার কারণে দেড় বছর ধরে হুইল চেয়ারে চলা ফেরা করতেন আলনেয়াদি। এজন্য তাকে অন্যের সহায়তা নিতে হতো। সেজন্য সালাউদ্দিন তার মামাত বোনের স্বামী ও এক বন্ধুকে সঙ্গে রেখেছিল।”
হোটেলের ওই কক্ষে আলনেয়াদির সঙ্গে সালাউদ্দিনই ছিলেন। আর ৭০৮ নম্বর কক্ষে ছিলেন অন্য দুইজন।
পলাশ কান্তি জানান, মঙ্গলবার ফয়স’লেক ও বিভিন্ন পর্যটন স্থানে ঘুরেছিলেন আলনেয়াদি । বুধবার সালাউদ্দিনের সঙ্গে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার উত্তর পদুয়ায় তার বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল।
“সেজন্য আলনেয়াদি সকাল সাতটায় অ্যালার্মও দিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু না ঘুম থেকে ওঠায় সালাউদ্দিন তাকে ডাকতে গিয়ে শরীর ঠাণ্ডা দেখতে পায়।”
পুলিশ কর্মকর্তা পলাশ আরও জানান, সালাউদ্দিনের বাবাও একসময় আলনেয়াদি অধীনে আরব আমিরাতে কাজ করতেন। কয়েক বছর ধরে বাবার পরিবর্তে কাজ করছিলেন সালাউদ্দিন। আমিরাতেও আলনেয়াদিকে দেখভাল করতেন তিনি।
সালাউদ্দিন জানিয়েছেন, অসুস্থ হওয়ার আগে আলনেয়াদি আরব আমিরাতের পুলিশে কাজ করতেন।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম পুলিশের পক্ষ থেকে আরব আমিরাত দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালী জোন) নোবেল চাকমা বলেন, “আলনেয়াদি বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন। তার পাসপোর্টেও বিভিন্ন দেশের ভিসা দেখা গেছে।”
আলনেয়াদির লাশ ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।
আইনগত প্রক্রিয়া শেষ লাশ তার দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান নোবেল চাকমা।