বুদাপেস্টের পুসকাস অ্যারেনায় মঙ্গলবার রাতে শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে ২-০ গোলে জিতেছে সিটি। দুই লেগ মিলে ৪-০ গোলের অগ্রগামিতায় শেষ আটে জায়গা করে নিয়েছে তারা।
শুরুতে কেভিন ডে ব্রুইনে ইংলিশ দলটিকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান বাড়ান ইলকাই গিনদোয়ান।
ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল সিটির ইতিহাদ স্টেডিয়ামে। কিন্তু কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে ভ্রমণের ওপর আরোপিত বিধিনিষেধের কারণে ম্যাচ বুদাপেস্টে সরিয়ে নেওয়া হয়। একই কারণে প্রথম লেগও হয়েছিল এই মাঠে।
শুরু থেকে বল দখলে আধিপত্য করা সিটি সপ্তম মিনিটে প্রথম সুযোগ পায়। জোয়াও কানসেলোর ক্রস ডি-বক্সে খুঁজে পায় ফিল ফোডেনকে। ইংলিশ মিডফিল্ডারের ভলি ডান দিকে ঝাঁপিয়ে ফেরান গোলরক্ষক ইয়ান সমের। পরের মিনিটে ব্রিল এমবোলোর শট ফিরিয়ে জাল অক্ষত রাখেন সিটি গোলরক্ষক এদেরসন।
দ্বাদশ মিনিটে ডে ব্রুইনের চমৎকার গোলে এগিয়ে যায় সিটি। রিয়াদ মাহরেজের পাসে ডি-বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন বেলজিয়ান মিডফিল্ডার। বল ক্রসবারের নিচের দিকে লেগে জালে জড়ায়।
অষ্টাদশ মিনিটে দ্বিগুণ হয় ব্যবধান। প্রায় মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে এগিয়ে ফোডেন পাস দেন ডি-বক্সের সামনে। ভেতরে ঢুকে ডান পায়ের নিচু শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন গিনদোয়ান।
চলতি মৌসুমে সিটির সর্বোচ্চ গোলদাতা এই জার্মান মিডফিল্ডারের সব প্রতিযোগিতা মিলে গোল হলো ১৫টি।
৩৫তম মিনিটে ডে ব্রুইনের ফ্রি কিকে বল এক হাতে ক্রসবারের ওপর দিয়ে পাঠান সমের। ৬৬তম মিনিটে মাহরেজের শটও দারুণ দক্ষতায় ফেরান সুইজারল্যান্ডের এই গোলরক্ষক।
দ্বিতীয়ার্ধে অভিজ্ঞ রাহিম স্টার্লিং, সের্হিও আগুয়েরো বদলি হিসেবে নামেন; তবে উল্লেখযোগ্য কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেননি তারা। মনশেনগ্লাডবাখও পারেনি চ্যালেঞ্জ জানাতে।
টানা চতুর্থবারের মতো ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতাটির কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার আনন্দে মাঠ ছাড়ে সিটি।