মঙ্গলবার গভীর রাতে
উপজেলার গণেশপুর ইউনিয়নের গণেশপুর গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ড হয়।
মান্দা ফায়ার সার্ভিস
স্টেশনের দুইটি ইউনিট সাড়ে ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ফায়ার সার্ভিস ও ক্ষতিগ্রস্ত
পরিবারের সদস্যরা জানান, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য বিমল
কুমারের গোয়াল ঘরে গরু ও ছাগল ঢোকানোর পর মশার কয়েল জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। রাত সাড়ে ১২টার
দিকে তারা গোয়ালঘরে আগুন লাগার বিষয়টি টের পান।
অল্প সময়ের মধ্যে আগুন
ছড়িয়ে পড়ে। পরিবারের লোকজনের চিৎকার শুনে এলাকাবাসী এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন।
পরে ফায়ার সার্ভিস গিয়ে আগুন নেভায়।
ক্ষতিগ্রস্থ মেম্বার
বিমল কুমার বলেন, আগুনে ১৪টি গরু, ১২টি ছাগল, শতাধিক হাঁস-মুরগিসহ ধান-চাল, প্রয়োজনীয়
কাগজপত্র ও আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
এতে মেম্বার বিমল কুমার
ও তার ভাই ধীরেন্দ্রনাথ, অমল কুমার, পরিমল কুমার এবং তপন প্রামাণিকের প্রায় ৩০ লাখ
টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে বলে জানান বিমল।
মান্দা ফায়ার সার্ভিস
স্টেশন কর্মকর্তা গোলাম সরোয়ার বলেন, কয়েলের আগুন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। সংবাদ পেয়ে
রাত ১টার দিকে ঘটনাস্থলে যায় ফায়ারের সদস্যরা। দুইটি ইউনিট প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টার চেষ্টা
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
মান্দা উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বলেন, বুধবার ক্ষতিগ্রস্ত ৩ পরিবারের মধ্যে নগদ ১০ হাজার টাকা
ও ৫ প্যাকেট শুখনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়া জেলা প্রশাসকের
দপ্তরে ক্ষয়ক্ষতির রিপোট পাঠানো হবে বলেও তিনি জানান।
বুধবার সকালে মান্দা
উপজেলা চেয়ারম্যান মোল্ল্যা এমদাদুল হক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল হালিম ও গণেশপুর
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফ উদ্দিন মন্ডল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত ৩
পরিবারের মধ্যে নগদ ১০ হাজার টাকা ও ৫ প্যাকেট শুখনা খাবার বিতরণ করেছেন।