কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে আগামী মঙ্গলবার কিরগিজস্তান অনূর্ধ্ব-২৩ দলের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু হবে বাংলাদেশের। ২৭ মার্চ পরের ম্যাচে মুখোমুখি হবে স্বাগতিক নেপালের।
বৃহস্পতিবার নেপালের উদ্দেশে রওনা দেবে দল। আগের দিন ক্যাম্পের তৃতীয় ও শেষ দিনের প্রস্তুতির মাঝে সোহেল জানালেন লক্ষ্য।
“ব্যক্তিগতভাবে যদি আমাকে জিজ্ঞেস করেন, আমি বলব, যেহেতু একটা টুর্নামেন্ট খেলতে যাচ্ছি, একজন খেলোয়াড় হিসেবে অবশ্যই চাইব ট্রফিটা দেশে নিয়ে আসতে। দল যত শক্তিশালীই হোক, কেউ ট্রফির নিশ্চয়তা দিতে পারবে না। তবে আমরা চেষ্টা করতে পারি।”
নেপালে গিয়ে দিন পাঁচেক প্রস্তুতির সময় পাবে বাংলাদেশ। সোহেল জানালেন সেখানে গিয়েই টেকনিক্যাল দিক নিয়ে কাজ করবেন কোচ।
“যেহেতু লম্বা সময় আমরা লিগে খেলেছি, সেহেতু কোচ বেশি নজর দিচ্ছে আমাদের রিকভারিতে। কিভাবে আমরা সেরা এফোর্ট দিতে পারি, সেটা নিয়ে কাজ করছে। পাসিং, ফিনিশিং, ডিফেন্ডিং নিয়ে কাজ হয়েছে। টেকনিক্যাল বিষয় নিয়ে কাজ হয়নি, সেগুলো নিয়ে নেপালে গিয়ে কাজ হবে।”
“নেপাল যেহেতু পাহাড়ী এলাকা, সেখানে দম নিতে আমাদের একটু সমস্যা হয়। যেহেতু আমরা একটু আগে যাচ্ছি, সেহেতু চেষ্টা করব, ওদের আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার, যাতে আমরা ভালো করতে পারি প্রথম ম্যাচে।”
লিগের প্রথম ধাপে সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় দেশিদের মধ্যে ৬টি করে গোল নিয়ে শীর্ষে সুমন রেজা ও মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। উত্তর বারিধারার ফরোয়ার্ড সুমন নেপালেও ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে আত্মবিশ্বাসী।
“লিগে দেশি ফুটবলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়াটা অবশ্যই আমাকে বাড়তি আত্মবিশ্বাস দিবে। এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে অবশ্যই ভালো লাগবে। নতুন যারা আছে, তারাও যদি নিজেদের সেরাটা দিতে পারে, তাহলে দল ভালো করবে।”