এমিরেটস এয়ারলাইন্সের এক ফ্লাইটে বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মালদ্বীপের রাষ্ট্রপ্রধান ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। তার স্ত্রী ফাজনা আহমেদও এই সফরে তার সঙ্গে রয়েছেন।
বিমানবন্দরে তাদের স্বাগত জানান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং তার স্ত্রী রাশিদা খানম।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে যোগ দিতে বুধবার ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার পর মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ছবি: পিআইডি
সাধারণত ফুল দিয়ে বরণ করার রেওয়াজ থাকলেও করোনাভাইরাসের মহামারীর কারণে এবার তা হয়নি। দুই রাষ্ট্রপ্রধান করমর্দনও করেননি।
বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে ইব্রাহিম সলিহকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তাকে স্বাগত জানানো হয় ২১ বার তোপধ্বনি দিয়ে। তিন বাহিনীর সুসজ্জিত একটি দল এ সময় গার্ড অব অনার দেয়।
গার্ড পরিদর্শন শেষে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টকে লাইন অব প্রেজেন্টেশনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন ছাড়াও মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিনবাহিনীর প্রধান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ও রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবরা বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহকে স্বাগত জানানো হয় ২১ বার তোপধ্বনি দিয়ে। তিন বাহিনীর একটি দল তাকে গার্ড অব অনার দেয়। ছবি: পিআইডি
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের আগমন উপলক্ষে বিমানবন্দর এলাকা বর্ণিল সাজে সাজানো হয়। টার্মিনালের উপরে এবং সামনে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের বিপুল সংখ্যক পতাকা রয়েছে ছিল সাজে।
ভিভিআইপি টার্মিনালের দুই পাশে দুই রাষ্ট্র প্রধানের দুটি বড় ছবি স্থাপন করা হয় এবং টার্মিনালের উপরে বড় করে লেখা ছিল ‘স্বাগতম হে মহামান্য অতিথি’। এর সঙ্গে স্বাগত বক্তব্যের ইংরেজি অনুবাদও ছিল।
তিন দিনের এই সফরের প্রথমদিন বুধবার বিকেলে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ। ওই অনুষ্ঠানের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও থাকবেন।
বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকের পর তার আতিথেয়তায় বঙ্গভবনে একটি রাষ্ট্রীয় ভোজে যোগ দেবেন তিনি। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও উপভোগ করবেন। সফর শেষে ওই দিন রাতেই দেশে ফিরে যাবেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট।
মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্ৰী আব্দুল্লাহ শহীদ ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্ৰীসহ মোট ২৭ জনের একটি প্রতিনিধি দল এই সফরে ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহর সঙ্গে রয়েছেন।