বুধবার
স্বাস্থ্য সচিব আব্দুল মান্নান সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের জানান বলে
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
তিনি
বলেন, “এখন পর্যন্ত যারা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তারা সুস্থ আছেন। তাই টিকাদানের
এই অভিযান বন্ধ করার আমাদের কোনো পরিকল্পনা নেই।”
বাংলাদেশে
দেওয়া হচ্ছে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইনডিয়ার তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের
টিকা। এ পর্যন্ত সারাদেশে ৪৬ লাখ টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার
টিকা দেওয়ার পর রক্ত জমাট বাঁধার খবরে নরওয়ে, বুলগেরিয়া, ডেনমার্ক, জার্মানি,
ফ্রান্স, স্পেন, ইতালি, আয়ারল্যান্ড, আইসল্যান্ডসহ ইউরোপ ও ইউরোপের বাইরের অন্তত
১৬টি দেশ ওই টিকা দেওয়া স্থগিত করে।
তবে বিশ্ব
স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওষুধ
নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে এই টিকার সঙ্গে রক্ত জমাট বাঁধার কোনো সম্পর্ক পাওয়া যায়নি
বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশে
দেশে বেশ কয়েকদিন ধরেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। গত একদিনে আরও এক হাজার ৮৬৫
জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের।
বুধবার
সকাল পর্যন্ত আরও এক হাজার ৮৬৫ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে করোনাভাইরাসে
আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৬২ হাজার ৭৫২ জন হয়েছে।
আর গত
এক দিনে মারা যাওয়া ১১ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যু বেড়ে ৮ হাজার ৬০৮ জনের
মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবারও
কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও বর্তমানে করণীয় নিয়ে এক জরুরি সভায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে পুরোপুরি
লকডাউন দেওয়া, সম্ভব না হলে ‘ইকোনমিক ব্যালেন্স’ রেখে জনসমাগম বন্ধ অথবা সীমিত
করা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পাবলিক পরীক্ষা বন্ধ রাখার মতো বিষয় ঠাঁই পায়।
তবে
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বুধবার বলেন, সংক্রমণ বাড়লেও সরকার নতুন কোনো লকডাউন ঘোষণা করবে
না। তার বদলে মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে
কিনা তা কড়াকড়িভাবে নজরদারি করবে।