শ্যাম্পু করার পরে চুলের আর্দ্রতা ধরে
রাখতে কন্ডিশনার ব্যবহার করা প্রয়োজন।
কন্ডিশনার ব্যবহারে অনেকের চুল চিটচিটে
ও তৈলাক্ত হয়ে যায়। তাই তারা এই ধাপ বাদ দিয়ে থাকেন। এটা আসলে কন্ডিশনারের নয় বরং ভুল
কন্ডিশনার বাছাই ও এর ভুল প্রয়োগের ফলাফল।
রূপচর্চা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত
প্রতিবেদন অবলম্বনে চুলের কন্ডিশনার ব্যবহারের ভুলগুলো সম্পর্কে জানানো হল।
চুলের গোড়ায় কন্ডিশনার ব্যবহার: চুলের গোড়ায় কন্ডিশনার ব্যবহার করলে মাথার ত্বক চিটচিটে হয়ে যায়
ও প্রাকৃতিক সিবাম তৈরি করে। ফলে চুল দেখতে তৈলাক্ত ও চ্যাপ্টা লাগে। কন্ডিশনার ব্যবহারের
নিয়ম হল চুলের মাঝ বরাবর অংশ থেকে আগা পর্যন্ত।
কন্ডিশনার ব্যবহার করে তা শোষণের জন্য
দুএক মিনিট অপেক্ষা করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
পরিমাণে কম বা বেশি কন্ডিশনার ব্যবহার: চুলের যত্নে কন্ডিশনার ব্যবহার অন্যতম
গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। শ্যাম্পুর পরে কন্ডিশনার ব্যবহার না করা চুল ফাটা ও রুক্ষতার সমস্যা
সৃষ্টি করে। অতিরিক্ত কন্ডিশনার ব্যবহারে চুল চিটচিটে হয়ে যায় আর কম কন্ডিশনার ব্যবহারে
তা চুলে ঠিক মতো কাজ করে। তাই ভালো ফলাফল পেতে চুলের ঘনত্ব ও ধরন বুঝে কন্ডিশনার ব্যবহার
করতে হয়।
চুলের ধরন বুঝে কন্ডিশনার ব্যবহার না করা: চুলের ধরন বুঝে শ্যাম্পু নির্বাচন করার
পাশাপাশি কন্ডিশনার নির্বাচন করাও জরুরি। চুল পাতলা হলে হালকা কন্ডিশনার ব্যবহার করা
উচিত। পাতলা চুলে নিয়মিত ‘ডিপ কন্ডিশনার’ ব্যবহার করা চুলে অকারণ ওজন বাড়ায়। তাই চুলের ধরন বুঝে কন্ডিশনার বাছাই করুন।
নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চুলে না রাখা: কন্ডিশনার চুলে কাজ করতে কয়েক মিনিট সময় নেয়। সে সময়টুকু
না দিয়ে চুল ধুয়ে ফেললে কন্ডিশনার ঠিক মতো কাজ করতে পারেনা। চুল ভাগ করে কন্ডিশনার
ব্যবহার করে চার থেকে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করুন। এতে চুলের আর্দ্রতা বজায় থাকবে ও চকচকেভাব
আসবে। ‘ডিপ কন্ডিশনিং’ করার জন্য চুলে মাস্ক ব্যবহার করা হলে ১৫ থেকে ৩০ মিনিট অপেক্ষা
করে ধুয়ে ফেলুন।
আরও পড়ুন
কন্ডিশনার ব্যবহারের সঠিক পন্থা