চট্টগ্রাম নগরীতে অনেকে ফাঁদ পেতে থাকা এই প্রতারক চক্রের প্রতারণার শিকার হওয়ার পর সম্প্রতি গ্রেপ্তার তিন জনকে রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
এরা হলেন- মো. হিরণ হাওলাদার ওরফে সাগর (৩৫), পিযুষ কান্তি সেন (৬০), খোরশেদ আলম ওরফে খোকা (৩৫)।
গত মঙ্গলবার রাতে নগরীর পোস্ট অফিস গলি থেকে পিযুষকে এবং ঢাকার ধামরাই থেকে সাগর ও খোকাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কারও জব্দ করেছে পুলিশ।
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালী জোন) নোবেল চাকমা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আদালতে নির্দেশে বুধবার রিমান্ডে পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরা পুলিশ কিংবা র্যাব পরিচয়ে তাদের ছিনতাইয়ের কৌশল নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে।
নোবেল চাকমা জানান, সংঘবদ্ধ এই চক্র চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে পুলিশ ও র্যাব পরিচয়ে ছিনতাই করে। এ চক্রটিতে ছয় থেকে সাত জন আছে।
তারা চট্টগ্রামে সদরঘাট থানার পোস্ট অফিস গলিতে পিযুষের বাসায় অবস্থান নেন। সেখান থেকে প্রাইভেট কার নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে র্যাব কিংবা পুলিশ পরিচয় দিয়ে ছিনতাই করেন।
তাদের কাজের ধরণ বর্ণণা করে সহকারী কমিশনার নোবেল বলেন, তারা মূলত টার্গেট করেন চল্লিশ পঞ্চাশষোর্ধ পথচারী নারীদের। টার্গেট করা নারীদের গতিরোধ করে সামনে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের দুই পক্ষের সংঘর্ষের কথা বলে ওই পথে যেতে নিষেধ করেন।
“ভয় দেখিয়ে মোবাইল, স্বর্ণালঙ্কার তাদের হেফাজতে দিয়ে টোকেন নিতে বলেন। পরবর্তীতে তা থানা থেকে সংগ্রহ করার কথা বলে সবকিছু নিয়ে নেন।”
গত ১০ মার্চ সকালে সদরঘাট থানায় এলকায় প্রাতঃভ্রমণে বের হওয়া এক নারীর সঙ্গে তারা এই প্রতারণা করেন এবং ৯ মার্চ কোতোয়ালী থানা এলাকায়ও এমন একটা ঘটনা হয়েছিল বলেও জানান সহকারী কমিশনার নোবেল।
সদরঘাট থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এই ঘটনায় মামলার পর পোস্টঅফিস গলির বাসা থেকে পিযুষকে এবং ঢাকার ধামরাই থেকে সাগর ও খোকাকে গ্রেপ্তার করে প্রাইভেট করাটি জব্দ করা হয়।
“প্রাইভেট কারটির মালিক গ্রেপ্তার খোকা। মূলত ছিনতাই কাজে ব্যবহারের জন্য সেটি কেনা হয়েছিল বলে সে পুলিশকে জানিয়েছে।”
চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তারা র্যাব, পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই করেন জানিয়ে ওসি বলেন, গ্রেপ্তার পিযুষ পাঁচ থেকে ছয় বছর যাবত এ ধরনের কাজ করে আসছেন। তবে কখনও গ্রেপ্তার হয়নি।