আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ
পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, বিমান বাহিনীর বিভিন্ন ধরনের বিমানের মাধ্যমে বুধবার
দেশের বিভিন্ন স্থানের আকাশে ফরমেশন ফ্লাইং-এর মাধ্যমে ‘একশ’ সংখ্যাটি তৈরি করে জাতির
পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। পাশাপাশি হয় অলোচনা সভা ও দোয়া মাহফল।
বিমান বাহিনী
প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাতের দিক নির্দেশনায় এ আয়োজন করা হয়
বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।
বাংলাদেশ বিমান
বাহিনীর ৫৬টি যুদ্ধ ও প্রশিক্ষণ বিমান তিন ভাগে ভাগ হয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় এই প্রদর্শনীতে
অংশ নেয়।
“এফ-৭, মিগ-২৯, ইয়াক- ১৩০, কে-৮ডব্লিউ ও পিটি-৬ বিমান
ও হেলিকপ্টার এর সমন্বয়ে এই মনোমুগ্ধকর প্রদর্শনীতে বিমান বাহিনীর দক্ষ বৈমানিকগণ বাংলাদেশের
নীলাকাশে ফরমেশন ফ্লাইং-এর মাধ্যমে ১০০ তৈরি করে সমগ্র জাতির উৎসব ও উচ্ছ্বাসের রঙে
যোগ করে এক নতুন মাত্রা।”
এছাড়া, বিমান
বাহিনীর বিমানের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জেলায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ব্যানার ফ্লাই
করা হয়।
আইএসপিআর জানায়,
বঙ্গবন্ধুর ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে সেনাবাহিনী দেশের সকল সেনানিবাসে
বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সূর্যোদয়ের সাথে
সাথে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ঢাকার পুরাতন বিমানবন্দর এলাকায় ১০১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে
দিনের অনুষ্ঠানমালার সূচনা হয়।
এ দিন টুঙ্গিপাড়ায়
জাতির পিতার সমাধিসৌধে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় গার্ড
অব অনার দেয়।
দিনটি উপলক্ষে
ঢাকাসহ সকল সেনানিবাসের প্রতিটি প্রবেশ পথ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সাজানো
হয় মনোরম সাজে।
জাতির পিতার জীবনাদর্শ,
মুক্তিযুদ্ধে তার ভূমিকা, দেশ গঠনে রাজনৈতিক অবদান এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক চিত্র তুলে
ধরে সকল সেনানিবাসে শোভাযাত্রা, আলোচনা ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর মত অনুষ্ঠানের
আয়োজন করা হয়।
এছাড়া সেনাবাহিনী
পরিচালিত সব স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে আলোচনা অনুষ্ঠান, কুইজ, রচনা, বিতর্ক
ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, কবিতা আবৃত্তির মত অনুষ্ঠান আয়োজনের পাশাপাশি জাতির পিতার
আত্মার মাগফেরাত কামনা করে সব সেনানিবাসের মসজিদে মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ দোয়ার আয়োজন
করা হয়।