বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম জাহিদ
হোসেনের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে গ্রেপ্তার দুই আসামি
বলে জানিয়েছেন সরাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিখোঁজের পরদিন সকালে উপজেলার সৈয়দটুলা গ্রামের
নোয়াহাটি কাশফিয়া ওরফে শেফার (৮) লাশ উদ্ধার করা হয়। সে ফার্নিচার ব্যবসায়ী আব্দুল
কাদেরের মেয়ে।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার রনি (২৩) ওই এলাকার মতিন মিয়া মেয়ে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক জাকির হোসেন খন্দকারের
উপস্থিতিতে পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন জানান, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে শিশুটি
নিখোঁজ ছিল। সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেও শিশুটির সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না।
শিশুটি কিছুদিন ধরে প্রতিবেশী রনি নামের এক তরুণীর সাথে খেলাধূলা
করত। কয়েকদিন আগে শিশু কাশফিয়ার কানের দুল নিয়ে মন্তব্য করেছিল রনি। কাশফিয়াকে
কোথাও খুঁজে না পাওয়ায় তার পরিবারের সদস্যদের রনির প্রতি সন্দেহ হয়। এলাকাবাসী চাপ
দিলে রনি কাশফিয়াকে গ্রামের এজাজ মিয়ার ছেলে মো. হোসেন মিয়ার কাছে দিয়েছেন বলে
স্বীকার করেন।
তবে হোসেন এসব অস্বীকার করেন। পরে রনি নিজেই সাবেক এক চেয়ারম্যানের
বাড়ির ঝোপে কাশফিয়ার মরদেহ দেখিয়ে দেন।
কবির হোসেন আরও বলেন, তরুণী রনি, তার বাল্যবন্ধু হোসেন এবং জামিল
নামের এক যুবককে থানায় নিয়ে আসা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতে এ হত্যাকাণ্ডের কথা
স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে রনি ও হোসেন।
“তারা জবানবন্দিতে আদালতকে জানিয়েছেন, কাশফিয়াকে ফুসলিয়ে হোসেনের
ঘরে নিয়ে যান রনি। সেখানে কানের সোনার দুল খোলার চেষ্টা করলে চিৎকার শুরু করে কাশফিয়া।এ
সময় তার মুখে চেপে ধরে এবং গলায় গামছা দিয়ে ফাঁস দিয়ে হত্যা করে তারা।”
পরে সাবেক চেয়ারম্যানের বাড়ির পাশে কাশফিয়ার মরদেহ ফেলে দিয়ে চলে
আসেন তারা।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার জামিল মুখ খোলেনি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, তবে
কানের দুলটি সরাইল বিকাল বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী সুশীল পালের কাছ থেকে উদ্ধার করে
তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ মামলায় রনি, হোসেন, জামিল এবং স্বর্ণ ব্যবসায়ী সুশীল পাল
কারাগারে রয়েছেন বলে জানান তিনি।