দেশটিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন দিয়ে টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও আশ্বস্ত করেছেন তিনি।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ টিকাটি ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে বানানো হচ্ছে। দেশটিতে এ টিকা ‘কোভিশিল্ড’ নামে পরিচিত।
দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশে এরই মধ্যে সাড়ে তিন কোটি মানুষকে টিকাটি দেওয়া হয়েছে বলেও এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আল জাজিরা।
অন্যদিকে রক্ত জমাট বাঁধার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ থেকে ফ্রান্স, স্পেন, জার্মানিসহ বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ অ্যাস্ট্রাজেনেকার এ টিকার প্রয়োগ স্থগিত করেছে। এশিয়ার মধ্যে থাইল্যান্ড টিকাটির প্রয়োগ দেরিতে শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অবশ্য এরই মধ্যে টিকাটিকে নিরাপদ অ্যাখ্যা দিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওষুধ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াজনিত ঝুঁকির চেয়ে এর উপকারই বেশি বলে তাদের ‘দৃঢ় আস্থার’ কথাও জানিয়েছে।
ভারত সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ নীতি আয়োগের সদস্য ভিনোদ কে পাল বুধবার জানান, তাদের দেশের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য পর্যালোচনা করলেও এখন পর্যন্ত রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার সঙ্গে ভ্যাকসিনের কোনো সংযোগের ইঙ্গিত মেলেনি।
“এ বিষয়ে আমাদের যে কোনো উদ্বেগ নেই সে বিষয়ে আমি আবারও আপনাদের আশ্বস্ত করছি। আমাদের টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। ভারত অন্যান্য সূত্রের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের দিকেও তাকিয়ে আছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কিছু নেই,” সাংবাদিকদের এমনটাই বলেছেন তিনি।