নিহত হাশেমের স্ত্রী এবং যাকে মারধরের মাধ্যমে সংঘর্ষের সূত্রপাত, সেই মহসীনের মা বুধবার গভীর রাতে নগরীর ডবলমুরিং থানায় মামলা দুটি দায়ের করেন বলে ওসি মোহাম্মদ মহসিন জানান।
হাশেমকে হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী জরিনা বেগমের দায়ের করা মামলায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে পাঁচ থেকে ছয়জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
যার ছুরির আঘাতে হাশেমের মৃত্যু হয়েছে বলা হচ্ছে, সেই সোহাগ এবং তার ভাই মহসীনকেও এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।
আর মহসীনের মা মাফিয়া বেগম তার ছেলেকে মারধরের অভিযোগে যে মামলা করেছেন, তাতে দুই জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি দেখানো হয়েছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে ওসি বলেন, হত্যা মামলায় আসামিদের মধ্যে ‘ছুরিকাঘাতকারী’ মো. সোহাগসহ আটজনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলের পাশে একটি টং দোকান থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন- সোহাগের বড় ভাই মহসীন (৩৪), সাহাব উদ্দিন (২৬), মো. মাসুদ (৪১), আলী আকবর (৬০), মাসুদ রানা (২৮), মো. হেমায়েত ওরফে অপু (২৫) এবং ১৫ বছর বয়েসী এক কিশোর।
সোহাগ ও মহসীনের মায়ের করা মামলায় মো. সুমন (৩২) ও শামসুল হক (৩২) নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
বুধবার দুপুরে নগরীর আগ্রাবাদ এলাকায় স্থানীয় রঙ্গী পাড়ার একদল যুবক মাইক বাজিয়ে মোটর সাইকেল ও বাই সাইকেল নিয়ে ‘স্ট্যান্ড শো’ করছিল।
ওই সময় ওই পথে রিকশা নিয়ে যাওয়া মহসীন ও অপুকে যেতে বাঁধা দেয় আয়োজককারীদের একজন সুমন।
এক পর্যায়ে তা দু’পক্ষের সংঘর্ষে রূপ নিলে মো. হাশেম খান নামের একজন নিহত এবং দু’জন গুরুতর আহত হন। হাশেম রঙ্গী পাড়ার যুবক দলের একটি পিকআপে সাউন্ড বক্স পরিচালনার কাজে ছিলেন।
ওই ঘটনার পর পুলিশ ‘ছুরিকাঘাতকারী’ সোহাগসহ দুই পক্ষের ২৪ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
ওসি মহসিন বলেন, “যে ২৪ জনকে আটক করা হযেছিল তাদের মধ্যে সোহাগ জানিয়েছিল তার বড় ভাই মহসীনকে মারধরের খবর পেয়ে সে পাশের একটি টং দোকান থেকে কনডেন্সড মিল্কের কৌটা কাটার ছুরি নিয়ে হামলা চালায়। এতে তিনজন আহত হয়।”
তাদের মধ্যে হাশেমকে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান।
ওসি বলেন, ঘটনার পরপর যে ২৪ জনকে আটক করা হয়েছিল তাদের মধ্যে ১০ জনের ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ায় তাদের রেখে বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন
চট্টগ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে যুবক নিহত
আগ্রাবাদে সংঘর্ষ: রিকশা যেতে বাধা, কথা কাটাকাটি থেকে খুনোখুনি