ক্যাটাগরি

চাকরি পেলেন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নিহত উত্তমের ভাই-বোন

বৃহস্পতিবার বিকালে
মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী উত্তম বিশ্বাসের ভাই মনোজ বিশ্বাস ও বোন সুলেখা বিশ্বাসের
হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন।

মনোজ বিশ্বাসকে সিসিসির
কম্পিউটার অপারেটর এবং সুলেখা বিশ্বাসকে স্বাস্থ্য সহকারী পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী
বলেন, “আমাদের রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু তনয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবচেয়ে বেশী মানবিক
কর্তব্যবোধ পালন করে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় যে সকল পরিবার লড়াই-সংগ্রামে অবদান
রেখেছেন এবং আত্মত্যাগ করেছেন তাদেরকে পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানের জন্য পর্যায়ক্রমে
পদক্ষেপ নিয়ে যাচ্ছেন।

১৯৮৯ সালের ১০ জানুয়ারি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে বোমায় নিহত উত্তম বিশ্বাস।

১৯৮৯ সালের ১০ জানুয়ারি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে বোমায় নিহত উত্তম বিশ্বাস।

“১৯৮৯ সালের ২৫ জানুয়ারী
তিনি চট্টগ্রাম সফরে এলে ওই পরিবারের পাশে দাঁড়ান এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নিহত বালকের
পিতা অমলকান্তি বিশ্বাসের কোনো সন্তান যদি চাকরির উপযুক্ত হয় তাহলে তার কর্মসংস্থানের
ব্যবস্থা করা হবে। এই প্রতিশ্রুতির আলোকে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী সামনে রেখে অমলকান্তি
বিশ্বাসের দুই সন্তান সুলেখা বিশ্বাস ও মনোজ বিশ্বাসকে সিটি কর্পোরেশনে নিয়োগ দেওয়া
হল।”

এ সময় উপস্থিত ছিলেন
পাথরঘাটা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পুলক খাস্তগীর, সিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী
মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম প্রমুখ।

১৯৮৯ সালের ১০ জানুয়ারি
স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের মিছিলে থাকা স্কুলছাত্র উত্তম বিশ্বাস বোমায় নিহত হন।

ওই বছরের ২৫ জানুয়ারি
সে সময়ের আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা নগরীর পাথরঘাটা ব্রিক ফিল্ড রোডে উত্তম বিশ্বাসের
বাড়িতে এসে স্বজনদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন।

এরপর প্রায় ৩১ বছর
কেটে গেছে। সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই পরিবারটির দুরাবস্থার চিত্র তুলে ধরে প্রতিবেদন
প্রকাশিত হয়। এরপর উত্তম বিশ্বাসের দুই ভাই-বোন সিসিসিতে চাকরি পেলেন।

১৯৮৯ সালের ২৫ জানুয়ারি নগরীর পাথরঘাটা ব্রিক ফিল্ড রোডের বাসায় নিহত উত্তম বিশ্বাসের স্বজনদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

১৯৮৯ সালের ২৫ জানুয়ারি নগরীর পাথরঘাটা ব্রিক ফিল্ড রোডের বাসায় নিহত উত্তম বিশ্বাসের স্বজনদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

প্রয়াত উত্তম বিশ্বাসের
আরেক বোন অলকা বিশ্বাস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এত বছর পর প্রধানমন্ত্রী
যে আমাদের খোঁজ নিয়েছেন সেজন্য আমরা চিরঋণী থাকব। তিনি আমাদের পরিবারকে যে সম্মান দিয়েছেন
তা সারাজীবন আমরা মনে রাখব।

“আমার ভাইয়ের মৃত্যুর
পর তিনি আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, কখনও সুযোগ হলে আমাদের পরিবারকে তিনি
দেখবেন। উনার কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।”

অলকা বিশ্বাস জানান,
১৯৮৯ সালে তাদের বাড়িতে এলে প্রধানমন্ত্রীকে তার বাবা অমলকান্তি বিশ্বাস জানিয়েছিলেন,
নগরীর পাথরঘাটায় যে বাড়িতে তারা থাকেন সেটি অর্পিত সম্পত্তি। ভবনটি শহীদ উত্তম ভবন
নামে স্থায়ী বরাদ্দ চেয়েছিলেন অমলকান্তি।

সে বিষয়টি তুলে ধরে
অলকা বিশ্বাস বলেন, “করোনায় আমি ছাড়া অন্য তিন ভাইবোনের কারও কাজকর্ম ছিল না। খুব খারাপ
সময় পার করেছি। বাড়িটি বরাদ্দ পেলে আমাদের স্থায়ী মাথা গোঁজার ঠাঁই হত।

“২৪ বছর ধরে আমি সিটি
করপোরেশনে অস্থায়ী পদে চাকরি করছি। আমার চাকরিটি যদি স্থায়ী হয়, আপনাদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর
কাছে এটি একটি নিবেদন।”