বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানে ‘সিমাগ্লুটাইড’ নামের সপ্তাহে একবার ব্যবহার উপযোগী এই ইনজেকশন আনার ঘোষণা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ কে আজাদ খান বলেন, “বাংলাদেশে ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের মধ্যে টাইপ-টু হলো ৯০ শতাংশ। তাদের অনেকেই প্রায় সাত বছর অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস নিয়ে পরে চিকিৎসা গ্রহণের পরিবর্তে শুধু মুখে খাওয়ার ওষুধের ওপর নির্ভর করে থাকে।
“নতুন ‘সিমাগ্লুটাইড’ ইনজেকশন সপ্তাহের একবার ব্যবহারে রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ, শরীরের ওজন কমানো ও হৃদযন্ত্র ভাল রাখতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এর মাধ্যমে ডায়াবেটিসের মত জটিল রোগের চিকিৎসায় এক অন্যন্য সংযোজন হলো।”
এই ওষুধের দাম যতটা কমিয়ে সম্ভব জনগণের কাছে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ রাখেন তিনি।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এস্ট্রাপ পিটারসন বলেন, “ডায়াবেটিস রোগের জন্য গবেষণামূলক ও উদ্ভাবনী ওষুধ আনতে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখছে নভো নরডিস্ক, ভবিষতে তারা এই চেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলে প্রত্যাশা করছি।”
নভো নরডিস্কের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট জয় থায়াগারাজন মালয়েশিয়া থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বলেন, “ক্লিনিক্যাল ডেটা অনুযায়ী, ‘সিমাগ্লুটাইড’ উল্লেখযোগ্যহারে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসে এবং ওজন কমায় যা রোগীকে ৮০ শতাংশ লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহায়তা করবে।”
নভো নরডিস্ক জানায়, টাইপ-টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত প্রায় ১০ হাজার রোগীর ওপর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পর বাংলাদেশের বাজারে ‘সিমাগ্লুটাইড’ আনা হয়েছে।
এসব ট্রায়ালের ফলাফল সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, সচরাচর টাইপ-টু ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় যেসব ওষুধ ব্যবহার করা হয় সেসবের তুলনায় ‘সিমাগ্লুটাইড’ আরো কার্যকরভাবে রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে আনে এবং শরীরের ওজন কমাতে বেশ সহায়ক ভূমিকা পালন করে। পাশাপাশি এটি হৃদযন্ত্রের জন্যও উপকারী হবে বলে দাবি করা হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে নভো নরডিস্কের ডিরেক্টর বিজনেস ইউনিট জিএলপি-১ অ্যান্ড ওবেসিটি কামাল হোসেন পলক জানান, ‘সিমাগ্লুটাইড’ ইনজেকশন বৃহস্পতিবার থেকেই বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। এটি ০.৫ মিলি গ্রাম ও ১ মিলি গ্রামের দুটি আলাদা কলমে পাওয়া যাবে। প্রতিটির মূল্য ১৪ হাজার ২৫৯ টাকা।
অনুষ্ঠানে নভো নরডিস্কের হেড অব মেডিক্যাল অ্যান্ড কোয়ালিটি মাহবুবুর রহমান, পাবলিক অ্যাফের্য়াস ম্যানেজার গাজী তাওহীদ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।