বৃহস্পতিবার ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমান এই আদেশ দিয়ে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ২৫ মার্চ পরবর্তী তারিখ রেখেছেন। কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনের দুই নম্বর ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী এজলাসে এ মামলার বিচার চলছে।
সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মৃত্যু হয় মওদুদ আহমদের। তার কফিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশে এসে পৌঁছাবে।
তার মৃত্যুর বিষয়টি আদালতকে মৌখিকভাবে জানানোর পর বিচারক এ বিষয়ে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে শুনানি মুলতবি করেন।
কানাডীয় প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে ‘অস্বচ্ছ’ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে।
তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে মওদুদ ও খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।
নিজেই শুনানি করে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে হাই কোর্ট থেকে নাইকো দুর্নীতি মামলার কার্যক্রমে ৮ সপ্তাহের স্থগিতাদেশ পান ব্যারিস্টার মওদুদ। পরের বছর ওই স্থগিতাদেশের মেয়া; বাড়িয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
তবে ২০১৭ সালের মে মাসে মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম স্থগিতের আবেদন হাই কোর্টে খারিজ হয়ে যায়। ফলে বিচারিক আদালতে মওদুদের এ মামলার কার্যক্রম চলতে আইনগত বাধা কাটে।
মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হননি। তার পক্ষে আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার হাজিরা দেন।
খালেদা জিয়ার পক্ষে অব্যাহতির আবেদনের শুনানিতে তার আইনজীবী বলেছিলেন, নাইকো চুক্তির সিদ্ধান্ত ও চুক্তিতে স্বাক্ষর ‘আগের প্রধানমন্ত্রী’ করেছিলেন; খালেদা জিয়া তা বাস্তবায়ন করেছিলেন মাত্র। ফলে এ মামলায় তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ‘সত্য ও যথাযথ নয়’।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে ‘তুলে দেওয়ার’ মাধ্যমে আসামিরা রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন।
আরও খবর-
নাইকো দুর্নীতি: অভিযোগ গঠনের শুনানি ৮ ফেব্রুয়ারি
নাইকো দুর্নীতি: খালেদার অব্যাহতির আবেদনের শুনানি ফের ১৮ মার্চ
নাইকো দুর্নীতি: স্বাস্থ্য ঝুঁকি দেখিয়ে খালেদার সময়ের আবেদন
নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানি আবারও পেছালো
মওদুদের কফিন দেশে আসছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়
মওদুদের নাইকো দুর্নীতি মামলা চলবে
মওদুদের নাইকো মামলা: ১৯ জানুয়ারির মধ্যে রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ