ক্যাটাগরি

বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব ‘বাড়াতে চায়’ কম্বোডিয়া

বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার ভিডিও ভাষনে তিনি একথা বলেন।

বক্তব্যের শুরুতেই চলমান মহামারীর কারণে এধরনের অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত হতে না পারার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ও বাংলাদেশের জনগণের সুসাস্থ্য, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করছি।

তিনি বলেন, প্রয়াত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্ব অনুসরণ করে গত দশকগুলোতে সব অর্জনের জন্য বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন। রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনীতিতে উচ্চ প্রবৃদ্ধি, সামাজিক অগ্রগতি ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করতে পেরেছে। এই অর্জনের কারণে বাংলাদেশ সল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীর দেশের কাতারে যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে।

“আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং পারস্পরিক সহযোগিতা আরও বাড়াতে আমি আমার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করতে চাই। শান্তি, উন্নতি ও স্থিতিশীলতায় অবদান রাখতে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দুই পক্ষই লাভবান হওয়ার মতো সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই। বিশেষ করে বর্তমানে চলমান কভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলায় একসাথে কাজ করতে চাই।”

দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আলজেরিয়ায় ১৯৭৩ সালে জোট নিরেপেক্ষ শীর্ষ সম্মেলনের সময় কম্বোডিয়ার প্রয়াত রাজা নরোদম সিহানুক ও বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছিল। কম্বোডিয়া ও বাংলাদেশ ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনীতিক সম্পর্ক চালু করে। এর মাধ্যমে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় যায়।

“গত তিন দশকে দুই দেশেই দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে কার্যকর সহযোগী হতে পেরেছে। এর মধ্যে দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ে অনেক সহযোগিতা বিনিময় হয়েছে। ২০১৪ সালের জুনে বাংলাদেশে আমার ঐতিহাসিক সফর এবং ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে কম্বোডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর দুই দেশের মধ্যে অর্থনীতি, বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও কারিগরি সহযোগিতা সংক্রান্ত বিভিন্ন সহযোগিতার দ্বার উন্মোচন করেছে।

“দুই দেশের মধ্যে গভীর ভালোবাসা ও পারস্পরিক সম্মানের স্মারক হিসাবে দুই জাতির পিতার নামে নমপেন ও ঢাকায় পৃথক সড়কের নামকরণের বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।”