মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এসব সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস জানান, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে স্বাগত জানান।
দুই নেতা প্রথমে একান্ত বৈঠকে মিলিত হন। পরে দুই দেশের প্রতিনিধি দল দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসে। সেই বৈঠক শেষে দুই দেশের পক্ষে সংশ্লিষ্টরা সমঝোতা স্মারকে (এমওএইউ) স্বাক্ষর করেন।
এর মধ্যে ‘জয়েন্ট কমিশন ফর কম্প্রিহেনসিভ কোঅপারেশন’ গঠনে একটি এমওএইউ স্বাক্ষর করেন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ছবি: পিএমও
দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব সই করেন ‘বাইলেটারাল ফরেইন অফিস কনসাল্টেশন’ বিষয়ক এক সমঝোতা স্মারকে।
সামুদ্রিক মৎস্য আহরণে দুই দেশের সহযোগিতা বাড়াতে একটি সমঝোতা স্মারকে সই করেন বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এবং মালদ্বীপের অর্থনৈতিক উন্নয়ন মন্ত্রী।
এছাড়া বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবং মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক কর্মসূচি বিনিময় বিষয়ে একটি এমওইউ সই করেন।
দুই দিনের সফরে বুধবার ঢাকায় পৌঁছান মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। বিকালে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করবেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। পরে বঙ্গভবনে তিনি রাষ্ট্রীয় ভোজসভায় যোগ দেবেন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও ভোজসভায় যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
সফর শেষে বৃহস্পতিবার রাতেই দেশে ফিরে যাবেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল্লাহ শহীদ ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রীসহ মোট ২৭ জনের একটি প্রতিনিধি দল এই সফরে ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহর সঙ্গে রয়েছেন।