বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে করে সদ্য প্রয়াত মওদুদ আহমদের মরদেহ নিয়ে সন্ধ্যা ৬টা পাঁচ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছান তার স্ত্রী হাসনা মওদুদ।
মওদুদ আহমদের কফিন গ্রহণ করতে বিমানবন্দরে ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, এজেডএম জাহিদ হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা আমানউল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, শামীমুর রহমান শামীম, নাজিম উদ্দিন আলম, আবদুল লতিফ জনি, তাবিথ আউয়াল, ইশরাক হোসেন, এসএম জাহাঙ্গীর, বজলুল করীম চৌধুরী আনেদ, শায়রুল কবির খান, এলডিপির সাহাদাত হোসেন প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, “ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের মৃত্যু বিএনপি ও জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। আমরা মনে করি, গণতন্ত্রের এই সংকটকালে তার চলে যাওয়া জনগণের জন্য বড় ক্ষতি। আমরা একজন অভিভাবকে হারিয়েছি।”
তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন তিনি।
বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে কফিন জাতীয় পতাকায় ঢেকে অ্যাস্বুলেন্সে তোলা হয়। নেতৃবৃন্দ কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে বিমানবন্দর থেকে মওদুদ আহমদের মরদেহ তার গুলশানের বাসায় নিয়ে কিছুক্ষণ রাখা হয়। পরে সেখান থেকে বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালের হিমঘরে নেওয়া হয় তার মরদহে।
সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মৃত্যু হয় মওদুদ আহমদের। ৮১ বছর বয়সী এই রাজনীতিক কিডনি ও ফুসফুসের জটিলতাসহ বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন।
বুধবার সিঙ্গাপুরে আপার সেরেংগুনের প্যালেন বারু এলাকায় একটি ফিউনারেল হোমে মওদুদ আহমদের জানাজা হয়। প্রবাসী বাংলাদেশিরা জানাজায় অংশ নেন।
শুক্রবার সকালে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মওদুদ আহমদের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে এক ঘণ্টা। এরপর সেখান থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে সুপ্রিম কোর্টে, সেখানে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এরপর বেলা ১১টায় কফিন নেওয়া হবে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। সেখানে দলের পক্ষে থেকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে স্থায়ী কমিটির এই জ্যেষ্ঠ সদস্যকে । সেখানে দ্বিতীয় জানাজা হবে।
পরে দাফনের তার মরদেহ হেলিকপ্টারে করে নিয়ে যাওয়া হবে নোয়াখালীতে। সেখানে কোম্পানিগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে জানাজা হবে বাদ আসর। এরপর নিজের বাড়ির আঙিনায় আরেক দফা জানাজার পর বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।