ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহের নির্ধারিত
কেন্দ্রে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা হবে।
করোনাভাইরাসের
প্রকোপ বাড়তে থাকায় পরীক্ষার সময় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছে সরকারি
কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
পরীক্ষা হলের বাইরে
পরীক্ষার্থীদের হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থা, পরীক্ষার্থীদের হলে প্রবেশের
সময় শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য নন-কন্ট্যাক্ট ইনফ্রারেড থার্মোমিটারের সুবিধা
রাখা, প্রতিটি পরীক্ষার হলের কন্ট্রোল রুমে মাস্ক এবং জীবাণুনাশকের ব্যবস্থা করার নির্দেশনা
দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া
প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে
পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেঝেসহ সকল এলাকা
পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করা এবং অপেক্ষমাণ জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ করার কথাও বলা হয়েছে।
আসন ব্যবস্থা এমনভাবে
সাজাতে বলা হয়েছে, যাতে দুজন পরীক্ষার্থীর মধ্যে কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব থাকে।
সরকারি চাকরিতে বিভিন্ন ক্যাডারে দুই হাজার ১৬৬টি শূন্য পদে প্রার্থী নিয়োগ
দিতে গত বছরের ৩০ নভেম্বর ৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি।
এই বিসিএসের মাধ্যমে প্রশাসন ক্যাডারে ৩২৩ জন, সাধারণ ক্যাডারে মোট ৬৪২
জন; প্রফেশনাল ও টেকিনিক্যাল ক্যাডারে ৬১৯ জন, সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে ৮৯২ জনসহ মোট
দুই হাজার ১৬৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
পিএসসি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, মাস্ক ছাড়া কোনো
পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না এবং সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৯টা ২৫ মিনিটের
মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।
পরীক্ষা কেন্দ্রে বই-পুস্তক, সব রকম ঘড়ি, মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, সব
ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্যাংক/ক্রেডিট কার্ডসদৃশ কোনো ডিভাইস, গয়না, ব্রেসলেট বা
ব্যাগ নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না।
পরীক্ষার হলের গেইটে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের উপস্থিতিতে প্রবেশপত্র এবং
মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে মোবাইল, ঘড়ি ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ নিষিদ্ধ সামগ্রী আছে কি
না তল্লাশি করা হবে।
এর আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি
বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত শুধু ঢাকায় ৪২তম বিসিএসের এমসিকিউ পরীক্ষা হয়। তাতে অংশ
নেন ২৭ হাজার ৫৭৩ জন চাকরিপ্রার্থী।