বিবিসি জানায়, শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুরের দিকে একটি সাধারণ ভ্যানে সাদা পোশাকের একদল লোক থুরাকে ধরে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।
থুরার সঙ্গে মিয়ানমারের সংবাদ সংস্থা ‘মিজ্জিমা’র সাংবাদিক থান হতিকে অং কেও ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সেনাঅভ্যুত্থানের পর ক্ষমতা দখলকারী জান্তা বাহিনী মিজ্জিমার লাইসেন্স বাতিল করে।
বিবিসি কর্তৃপক্ষ এখনো থুরা কোথায় আছেন বা তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারেনি। তারা বলেন, বিষয়টি নিয়ে তারা খুবই উদ্বিগ্ন এবং থুরাকে খুঁজে বের করতে তারা স্থানীয় প্রশাসনের কাছে সাহায্য চেয়েছেন।
বিবিসির পক্ষ থেকে শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘বিবিসি মিয়ানমারে থাকা তাদের সব কর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়টি খুবই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে এবং আমরা অং থুরাকে খুঁজে বের করতে সব কিছু করবো।
মিয়ানমারে রক্ত ঝরছেই, উদ্বিগ্ন জাতিসংঘ
‘‘আমরা স্থানীয় প্রশাসনে ফোন করে থুরাকে খুঁজে বের করতে এবং তারা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাহায্য কামনা করেছি।
রাজধানী নেপিডোতে রিপোর্টিংয়ে অনেক বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন থুরা বিবিসির একজন স্বীকৃত সাংবাদিক।”
সেনাঅভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে এখন পর্যন্ত ৪০ জন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৬ জন এখনো বন্দি আছেন। মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর এখন পর্যন্ত দেশটির পাঁচটি সংবাদ সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করেছে।
সেনাঅভ্যুত্থানের পর থেকেই মিয়ানমারে গণতন্ত্রের পক্ষে গণবিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভ দমনে বলপ্রয়োগ করা জান্তাবাহিনীর গুলিতে দুই শতাধিক বিক্ষোভকারীর প্রাণ গেছে বলে জানায় দ্য অ্যাসিসটেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজোনার্স গ্রুপ। তাদের হিসাব মতে, দেশটিতে সেনাঅভ্যুত্থানের পর অন্তত ২৩২ বিক্ষোভকারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
সব থেকে রক্তাক্ত দিনগুলোর একটি ছিল গত ১৪ মার্চ। ওই দিন ৩৮ জনের বেশি বিক্ষোভকারী নিহত হন।
শুক্রবারও দেশটির মধ্যাঞ্চলের শহর অংবানে পুলিশের গুলিতে আট বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন বলে খবর প্রকাশ করেছে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম।
সবথেকে বেশি উত্তাল হয়ে আছে দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াংগন। শুক্রবার নগরীর সড়কগুলোকে প্রচণ্ড যানজট দেখা গেছে। বিবিসি জানায়, সংঘাত থেকে বাঁচতে ইয়াংগনের অনেক বাসিন্দা নগর ছাড়ছেন।