শুক্রবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মিছিলের সাউন্ড সিস্টেম নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে মারামারি হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও রাজু ভাস্কর্য এলাকায় দুপুর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয়।
এসময় শহীদ মিনার এলাকায় মাইকের মাধ্যমে দলীয় ও দেশাত্মবোধক গান বাজানো হয়। এক পর্যায়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ নেতাকর্মীরা সাউন্ড সিস্টেম বন্ধ করে দিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতাকর্মীরা গিয়ে কথাকাটি করেন। পরে কথা কাটাকাটি এক পর্যায়ে হাতাহাতিতে রূপ নেয়।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত রাখতে আমরা পাঁচ মিনিট সাউন্ড বন্ধ করে স্লোগান দিচ্ছিলাম। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের লোকজন এসে আমার লোকদের সাথে উত্তেজিত হয়ে কথাকাটি করে। পরে আমি সেখানে মীমাংসার চেষ্টা করলে তারা আমার উপরও চড়াও হয়। তারা আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। আমাদের ৮ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে।
“আমরা বিভিন্ন সময় প্রোগ্রাম করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাই। আমাদের সাথে এ ধরনের আচরণ একদমই কাম্য নয়। আমরা এই ঘটনার তদন্তপূর্বক বিচার চাই।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দক্ষিণ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত তুলেছে। শহীদ মিনারে আজকের প্রোগ্রামের ব্যানার, পোস্টার, প্ল্যাকার্ড নষ্ট করেছে। সাউন্ড সিস্টেম ধ্বংস করেছে। তারা সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে। সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী যারা কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে, আমরা আশা করি, সংগঠন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।”
এই বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মারামারির ঘটনা ঘটেনি, শুনেছি কথা কাটাকাটি হয়েছে। আমরা বিষয়টা খতিয়ে দেখছি। সংগঠনের শৃঙ্খলারবিরোধী কর্মকাণ্ডে কেউ জড়িত থাকলে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”