স্বাস্থ্য
অধিদপ্তরের মেডিকেল ইনফরমেশন সার্ভিসেস-এমআইএস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে
জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার একদিনে টিকা নিয়েছেন ১ লাখ ৭
হাজার ৪৩৩ জন। আর এ পর্যন্ত
টিকা নিয়েছেন ৪৬ লাখ ৮৭
হাজার ৮২৪ জন।
বৃহস্পতিবার
বেলা ৫টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত টিকার জন্য
নিবন্ধন করেছেন ৬০ লাখ ৭ হাজার ১০৩
জন নাগরিক।
এখন
পর্যন্ত যারা টিকা নিয়েছেন, তাদের মধ্যে ৮৯৭ জনের মধ্যে উপসর্গ দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে কী ধরনের উপসর্গ
তাদের দেখা দিয়েছে, সে বিষয়ে কিছু
জানানো হয়নি।
কুর্মিটোলা
জেনারেল হাসপাতালের একজন নার্সকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে গত ২৭ জানুয়ারি
বাংলাদেশে বহু প্রতীক্ষিত টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।
পরদিন
ঢাকার পাঁচটি হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীদের পরীক্ষামূলকভাবে এ টিকা দেওয়া
হয়। সেখানে কোনো জটিলতা দেখা না দেওয়ায় ৭
ফেব্রুয়ারি শুরু হয় সারা দেশে
গণ টিকাদান।
করোনাভাইরাসের
টিকাদানের যে জাতীয় পরিকল্পনা
সরকার করেছে, তাতে সারা দেশের ১৩ কোটির বেশি
মানুষকে টিকা দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য
অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগরে ৪৭টি হাসপাতাল ও কেন্দ্রে মোট
১৩ হাজার ৪১০ জন টিকা নিয়েছেন।
সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ২৬০
জন টিকা নিয়েছেন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে।
বিভাগভিত্তিক
হিসাবে সবচেয়ে বেশি ২৭ হাজার ২৪০
জন টিকা নিয়েছেন ঢাকা বিভাগে। এছাড়া ময়মনসিংহে ৬ হাজার ৪৩০
জন, চট্টগ্রামে ১৬ হাজার ৬২০
জন, রাজশাহীতে ১৪ হাজার ৭৯
জন,রংপুরে ২০ হাজার ৬৩২
জন, খুলনায় ১৫ হাজার ১১৫
জন, বরিশালে ৪ হাজার ৪৮৭
জন এবং সিলেট বিভাগে ২ হাজার ৮৩০
জন করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন।
ঢাকাসহ
সারা দেশে ১ হাজার ১৫টি
হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শুক্র ও
সরকারি ছুটির দিন বাদে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত টিকা দেওয়া হচ্ছে। ঢাকায় ২০৪টি এবং ঢাকার বাইরে ২ হাজার ১৯৬টি
স্বাস্থ্যকর্মীর দল এসব কেন্দ্রে
সরাসরি টিকা প্রয়োগ করছেন।