ক্যাটাগরি

দুই মাসের মধ্যে ৪১তম বিসিএসের ফল: পিএসসি চেয়ারম্যান

শুক্রবার
সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে একযোগে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা
অনুষ্ঠিত হয়।

করোনাভাইরাসের
প্রকোপ বাড়তে থাকায় পরীক্ষায় কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানার নির্দেশনা থাকলেও অনেক কেন্দ্রেই
তা মানতে দেখা যায়নি।

পরীক্ষা
হলের বাইরে পরীক্ষার্থীদের হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থা, হলে প্রবেশের সময়
তাপমাত্রা পরিমাপের সুবিধা রাখা, জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ করার নির্দেশনা মানা হয়নি বিভিন্ন
কেন্দ্রে।

এ প্রসঙ্গে
সোহরাব হোসাইন বলেন, “স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।
প্রতি বেঞ্চে একজন করে শিক্ষার্থী বসানো হয়েছে। প্রতি রুমে ২৫ জনের বসার ব্যবস্থা করা
হয়েছে। পরীক্ষার্থীরা সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। কোনো সমস্যা দেখি নাই।

“আমরা
নানাভাবে প্রচার চালিয়ে সবাইকে সচেতন করার চেষ্টা করেছি। তাপমাত্রা পরিমাপের বিষয়টি
আপনারা নজরে এনেছেন, বিষয়টি আমরা দেখব।”

গত
২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়া ৪২তম বিসিএস পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর দ্রুত ৪১তম বিসিএসের
ফল প্রকাশের কথা জানিয়েছেন তিনি।

“আমরা
একটু জটে আছি। ৪২তম বিসিএসের ফল আরও আগে দেওয়া সম্ভব ছিল। যতদ্রুত সম্ভব আমরা চেষ্টা
করব। কারণ দ্রুত ফলাফল দিতে পারলে পরবর্তী কার্যক্রমগুলো শুরু করা যায়।

“৪২তম
বিসিএসের ফলাফল আগামী ১৫ দিনের মধ্যে দিতে পারলে, এবারের ফল (৪১তম) দুই মাসের মধ্যেই
দিতে পারবো। আগেও হতে পারে।”

করোনাভাইরাসের
সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ৪১তম বিসিএসের পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার দাবিও উঠেছিল।

পরীক্ষার
কারণে সংক্রমণ বাড়ার শংকার বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান বলেন, “সবকিছুই চলছে, সারা বিশ্বেই।
কিন্তু মাস্ক পড়লে ঝুঁকিটা কমে যায়। ফলে পরীক্ষার হল থেকে সংক্রমণ বাড়ার সম্ভাবনা কম।”

সরকারি
চাকরিতে বিভিন্ন ক্যাডারের শূন্য পদে প্রার্থী নিয়োগ দিতে গত বছরের ৩০ নভেম্বর ৪১তম
বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি।

এই
বিসিএসের মাধ্যমে প্রশাসন ক্যাডারে ৩২৩ জন, সাধারণ ক্যাডারে মোট ৬৪২ জন; প্রফেশনাল
ও টেকিনিক্যাল ক্যাডারে ৬১৯ জন, সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে ৮৯২ জনসহ মোট দুই হাজার ১৬৬
জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।