শুক্রবার বিকাল ৩টা ১০ মিনিটে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে কবিরহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মওদুদ আহমদের মরদেহ পৌঁছে। এরপর অ্যাম্বুলেন্সে পাশেই কবিরহাট সরকারি কলেজ মাঠে মরদেহবাহী কফিনটি নিয়ে যাওয়া হয়।
সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মৃত্যু হয় তার। ৮১ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ কিডনি ও ফুসফুসের জটিলতাসহ বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন।
কবিরহাট সরকারি কলেজ মাঠে বিকাল ৩টা ৩৫ মিনিটে তার তৃতীয় জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় বিপুল সংখ্যক দলীয় নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় স্মৃতিচারণ করেন তার স্ত্রী হাসনা জসিম উদ্দিন মওদুদ, নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি মো. শাহজাহান, যুগ্ম-মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, জেলা বিএনপি সভাপতি গোলাম হায়দার, সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, কবিরহাট পৌরসভার মেয়র জহিরুল হক রায়হান প্রমুখ।
এরপর বিকাল সাড়ে ৪টায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট সরকারি মুজিব কলেজ মাঠে তার চতুর্থ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন ও বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মাগরিবের নামাজের পর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর পার্বতী ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামের পৈত্রিক বাড়ির মসজিদের সামনে পঞ্চম জানাজা শেষে পারিবারিক বকরস্থানে বাবা-মায়ের পাশে তাকে চির নিদ্রায় শায়িত করা হয়।
মওদুদ আহমেদ নোয়াখালী-৫ আসন (কোম্পানীগঞ্জ- কবিরহাট) থেকেই পাঁচ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৪০ সালে ২৪ মে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মানিকপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মাওলানা মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং মা বেগম আম্বিয়া খাতুন। ছয় ভাই বোনের মধ্যে মওদুদ আহমদ ছিলেন চতুর্থ।
সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মৃত্যু হয় তার। ৮১ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ কিডনি ও ফুসফুসের জটিলতাসহ বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার মরদেহ দেশে পৌঁছানোর পর রাতে কিছু সময় তার কফিন গুলশান এভিনিউয়ে তার বাসায় রাখা হয়। রাতে মরদেহ রাখা হয় এভারকেয়ার হাসপাতালের হিমঘরে।
শুক্রবার সকাল ৯টায় মওদুদের কফিন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে আসা হয়। বেলা সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন পর্ব চলে।
সেখান থেকে তার দীর্ঘদিনের কর্মস্থল সুপ্রিম কোর্টের প্রাঙ্গণে এবং নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তার জানাজায় অংশ নেয় হাজারো মানুষ।