ক্যাটাগরি

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে মার্কিন কংগ্রেসে প্রস্তাব

নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস এলাকার ডেমক্র্যাট কংগ্রেসওম্যান আলেক্সান্দ্রিয়া ওকাসিয়ো-করতেজ মঙ্গলবার ‘কোমেমর‌্যাটিং দ্য ফিফটিয়েথ অ্যানিভার্সারি অব বাংলাদেশ ইন্ডিপেন্ডেন্স’ শীর্ষক প্রস্তাবটি কংগ্রেসে তুলেন।

প্রস্তাব উত্থাপনে তাকে সহায়তা করেন প্রতিনিধি পরিষদে পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান কংগ্রেসম্যান গ্রেগরি মিকস, মিশিগানের কংগ্রেসওম্যান রাশিদা তাইয়্যিব ও ক্যালিফোর্নিয়ার কংগ্রেসম্যান জিমি গোমেজ।

প্রস্তাবটি পাসের জন্য প্রতিনিধি পরিষদে পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে।  

১৯৭০ সালের পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও পাকিস্তানের সামরিক সরকারের তা স্বীকার না করার প্রেক্ষাপটে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার কথা তুলে ধরা হয় প্রস্তাবের শুরুতে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য আত্মত্যাগী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসিকতার বিশেষ প্রশংসা এবং গণতন্ত্রের জন্য যারা জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন, তাদেরও স্মরণ করা হয়।

ওই প্রস্তাবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে বাংলাদেশের মানুষকে অভিনন্দন জানানো, যুগান্তকারী এই মুহূর্তের ঐতিহাসিক গুরুত্বকে বাংলাদেশে ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকার করে নেওয়া, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের সংগ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসিকতার প্রশংসা এবং বাংলাদেশের প্রতিশ্রুত গণতান্ত্রিক শাসনের নীতির প্রতি সমর্থন জানানো এবং বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশকে বিশেষ সম্মান জানানোর কথা বলা হয়েছে প্রস্তাবে।

এর আগে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশের মানুষকে অভিনন্দন জানিয়ে এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ‘বাংলাদেশ গোটা বিশ্বের সামনে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে’ বলে জর্জিয়া স্টেট পার্লামেন্ট এবং নিউজার্সি স্টেট পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস হয়।

এসব প্রস্তাবের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদ এবং বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়্যার ভেটেরানস’৭১ সম্মিলিতভাবে চেষ্টা করেছে। কংগ্রেস ও স্টেট পার্লামেন্টসমূহে প্রস্তাব উত্থাপন সমন্বয় করেছেন লাবলু আনসার।

কংগ্রেসে এই প্রস্তাব উত্থাপনের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখা কংগ্রেসওম্যান করতেজ ও তার ডিস্ট্রিক্ট অফিসকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়েছেন ড. নূরুননবী, রাশেদ আহমেদ, গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ, লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি আব্দুল কাদের মিয়া ও ফোবানার চেয়ারম্যান জাকারিয়া চৌধুরী।