বৃহস্পতিবার এ প্রসঙ্গে টুইটার জানিয়েছে, আর দশ জন সাধারণ ব্যবহারকারীর মতো বিশ্ব নেতাদের উপরও নিয়ম বর্তাবে কি না তা-ও বিবেচনা করছে তারা।
রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ এবং সরকারি কর্মকর্তাদের অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণ প্রশ্নে তদন্তের মুখে পড়েছে টুইটার ও ফেইসবুক। জানুয়ারির ৬ তারিখে সহিংসতায় ইন্ধন যোগানোর অভিযোগে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে নিজ নিজ প্ল্যাটফর্মে নিষিদ্ধ করেছিল প্ল্যাটফর্ম দুটি। এর পর থেকেই এ বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হচ্ছে তাদের।
বর্তমানে টুইটারের প্রচলিত নিয়মটি ভিন্ন। আড়াই লাখ বা তার বেশি অনুসারী রয়েছে এমন জনপ্রতিনিধিকে ‘সংবাদযোগ্য ব্যক্তিত্ব’ হিসেবে বিবেচনা করে প্ল্যাটফর্মটি। এ ধরনের অ্যাকাউন্টের বেলায় কোনো কারণে অ্যাকাউন্টকে স্থগিত বা নিষিদ্ধ করে না টুইটার। প্রয়োজনে তাতে লেবেল জুড়ে দেয় মাইক্রোব্লগিং সাইটটি। কিন্তু এ নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটেছে জানুয়ারিতেই। সহিংসতায় ইন্ধন ঠেকাতে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিয়েছিল তারা।
টুইটার জানিয়েছে, মার্চের ১৯ তারিখ এ ব্যাপারে জরিপ শুরু করবে তারা। মূলত ওই জরিপে অন্যান্য ব্যবহারকারীদের কাছে টুইটার জানতে চাইবে, রাজনীতিবিদদের সাধারণ টুইটার নিয়মাবলীর আওতায় আনা উচিত বলে মনে করেন কি না তারা, এবং যদি রাজনীতিকবিদরা নিয়ম লঙ্ঘন করেন তাহলে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত হবে। এপ্রিলের ১২ তারিখে জরিপটি শেষ হবে।
অন্যদিকে, ফেইসবুক অনির্দিষ্টকালের জন্য ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছিল জানুয়ারিতে। ওই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে কি না, সে ব্যাপারে নিজেদের স্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক বোর্ডের কাছে জানতে চেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
টুইটার নিজেও নীতি নিয়ে মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ, নাগরিক সমাজ এবং শিক্ষাবিদদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে বলে জানিয়েছে।