শুক্রবার দুপুরে উপজেলার
ধরখার ইউনিয়নের ভাটামাথা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে বলে আখাউড়া থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান।
ঘটনার পর থেকে আনন্দ
পাল (৩৮) নামের ওই যুবক পলাতক রয়েছেন। আনন্দ পাল রাজধানীর পুরান ঢাকার তাঁতীবাজারের
নিতাই পালের ছেলে।
দগ্ধ মা (৫০) ও মেয়েকে
(৩০) জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আনন্দ পালের স্ত্রীর
ভগ্নিপতি (ভায়রা ভাই) বলেন, প্রায় ১০ বছর আগে তার শ্যালিকা ও আনন্দের বিয়ে হয়। তাদের
একটি ছেলে রয়েছে।
“আনন্দ সবসময় জুয়া
খেলায় মেতে থাকতেন। লকডাউনের সময় আনন্দ জুয়া খেলে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। এ নিয়ে তাদের
দাম্পত্য কলহ চলছিল।”
এক পর্যায়ে আন্দর স্ত্রীকে
বাবার বাড়ির লোকজন আখাউড়ায় তার বাবার বাড়ি নিয়ে এসন বলে আনন্দের এই ভায়রা ভাই জানান।
তিনি আরও জানান, সম্প্রতি
স্ত্রীকে ঢাকায় চলে যেতে চাপ দিতে থাকেন আনন্দ। শুক্রবার সকালে আনন্দ শ্বশুরবাড়ি এসে
স্ত্রীকে ঢাকা ফিরে যেতে চাপ দেন।
“কিন্তু স্ত্রী তাতে
রাজি না হলে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে আনন্দ তার কাপড়ের ব্যাগে করে আনা এসিড স্ত্রীর
গায়ে ছুড়ে মারে। এই সময় তার চিৎকার শুনে মা ঘটনাস্থলে এলে তাকেও এসিড মারেন আনন্দ।”
এতে আনন্দের স্ত্রীর
মুখ ও পিঠ এবং শাশুড়ির গলার নিচের অংশ ঝলসে গেছে বলে আনন্দের ভায়রা জানান।
ঘটনার খবর পেয়ে ভাটামাথা
গ্রামে পুলিশ পাঠানো হয়েছে বলে ওসি আখাউড়া থানার ওসি মিজানুর রহমান জানিয়েছেন।