বাবরের পাশাপাশি আরও দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। গত বছর
পাকিস্তানের নিউ জিল্যান্ড সফরের আগে এক সংবাদ সম্মেলনে হামিজা মুখতার নামে একজন
নারী বাবরের বিরুদ্ধে হয়রানি ও নিগ্রহের অভিযোগ করেন। সেসময় তিনি একটি আদালতে
মামলার আবেদন করেন, তখন পুলিশকে মামলার তদন্তের নির্দেশ
দেওয়া হয়।
সেই মামলাটি কখনও নিবন্ধিত হয়নি। যদিও বাবরের আইনী দল লাহোর
হাইকোর্ট থেকে স্থগিতাদেশ পায়। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ এবং পরে পিএসএলে খেলতে
বাবর জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকায় প্রাথমিক শুনানি ২২ মার্চ পর্যন্ত
স্থগিত করা হয়।
এরপর অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের কাছ থেকে ফোনে হুমকি পাওয়ার অভিযোগ
করেন হামিজা। তদন্তে একটি নাম্বারের সন্ধান পায় এফআইএ। সেটি মোহাম্মদ বাবরের নামে
নিবন্ধিত। পরে বাবরকে হাজির হওয়ার জন্য তলব করা হলেও এফআইএতে যাননি তিনি। তার
জায়গায় তার ভাই ফয়সাল আজম হাজির হয়ে আরও সময় চেয়েছিলেন।
বিচারক হামিদ হুসেন বৃহস্পতিবার এফআইএকে দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা
নিবন্ধনের নির্দেশনা দিয়েছেন।
বাবরের পরিবার দাবি করছে, তারা এফআইএর কোনো
সমন পায়নি। ইএসপিএনক্রিকইনফোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাবরের
পরিবার আবার লাহোর হাইকোর্টে যাবে।
বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড
(পিসিবি)।
দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে সফর সামনে রেখে শুক্রবার থেকে লাহোরে
অনুশীলন ক্যাম্প শুরু করার কথা পাকিস্তান দলের।