প্রতিপক্ষের মাঠে শনিবার স্থানীয় সময় বিকেলে লিগ ম্যাচটি ৩-১ গোলে জিতেছে রিয়াল। ১০ মিনিটের ব্যবধানে বেনজেমার জোড়া গোলের পর প্রথমার্ধেই ব্যবধান কমান সান্তি মিনা। শেষ দিকে চ্যাম্পিয়নদের তৃতীয় গোলটি করেন মার্কো আসেনসিও।
লিগে এই নিয়ে টানা আট ও সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ১০ ম্যাচ অপরাজিত রইলো রিয়াল; আট জয় ও দুই ড্র। লিগ টেবিলে বার্সেলোনার চেয়ে তারা এগিয়ে গেল ১ পয়েন্টে। আতলেতিকো মাদ্রিদের থেকে পিছিয়ে রইলো ৩ পয়েন্টে।
অবশ্য বার্সেলোনা ও আতলেতিকো একটি করে ম্যাচ কম খেলেছে।
ম্যাচের শুরুতেই গোলরক্ষকের ভুলে বিপদে পড়তে বসেছিল গত মৌসুমে রিয়ালকে তাদেরই মাঠে রুখে দেওয়া সেল্তা। প্রতিপক্ষের প্রতি-আক্রমণ ঠেকাতে ডি-বক্সের বাইরে বেরিয়ে পড়লেও বলে পা ছোঁয়াতে পারেননি ইভান ভিয়ার। অবশ্য তাকে ফাঁকি দিয়ে বল নিয়ে বেরিয়ে গেলেও শট নেওয়ার মতো যথেষ্ট সুযোগ পাননি ভিনিসিউস জুনিয়র।
গোলের জন্য রিয়ালের অপেক্ষা অবশ্য খুব একটা দীর্ঘ হয়নি। ছন্দে থাকা বেনজেমা ২০তম মিনিটে এগিয়ে নেন দলকে। টনি ক্রুসের পাস ডি-বক্সে ধরে কোনাকুনি শটে ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এই নিয়ে টানা ছয় ম্যাচে গোল পেলেন বেনজেমা। চোটে পড়ার আগে টানা দুই ম্যাচে জালের দেখা পেয়েছিলেন তিনি। এরপর সুস্থ হয়ে ফিরে লা লিগায় আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ম্যাচে ফিরে শেষ সময়ে গোল করে হার এড়ান ফরাসি ফরোয়ার্ড। এরপর গত সপ্তাহে লিগে তার জোড়া গোলে এলচেকে ২-১ ব্যবধানে হারায় রিয়াল। আর গত মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আতালান্তার বিপক্ষে দলের ৩-১ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচে প্রথম গোলটি করেন তিনি।
১০ মিনিট পর প্রতিপক্ষের ভুলের সুযোগে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বেনজেমা। ডি-বক্সের মুখে সেল্তার মিডফিল্ডার রেনাতো তাপিয়ার পেছন থেকে ছোট্ট টোকায় তার দুই পায়ের মাঝ দিয়ে বল সামনে বাড়ান ক্রুস। আর বল ধরে একটু আড়াআড়ি গিয়ে বাঁ পায়ের শটে আসরে নিজের ১৭তম গোলটি করেন বেনজেমা।
৪০তম মিনিটে ব্যবধান কমিয়ে লড়াই জমিয়ে তোলে সেল্তা। বাঁ দিক থেকে দেনিস সুয়ারেসের ক্রসে হেডে গোলটি করেন মিনা।
৬০তম মিনিটে ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়ে আবারও শট নিতে দেরি করে ভালো একটি সুযোগ নষ্ট করেন ভিনিসিউস। দুই মিনিট পর পাল্টা আক্রমণে ইয়াগো আসপাসের ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া জোরালো শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান থিবো কোর্তোয়া।
দ্বিতীয়ার্ধে বল দখলে এগিয়ে থাকার পাশাপাশি আক্রমণেও ভীতি ছড়ানো সেল্তা ৮২তম মিনিটে ভাগ্যের ফেরে গোল পায়নি। আসপাসের দারুণ ফ্রি-কিকে বল বাধা পায় পোস্টে।
শেষ দিকে বল দখলে নিয়ে প্রতিপক্ষকে বেঁধে রাখার কৌশল নেয় রিয়াল। তাতে সফলও হয় তারা। আর একেবারে শেষ সময়ে তৃতীয় গোলও আদায় করে নেয় দলটি। প্রতি-আক্রমণে হ্যাটট্রিক হতে পারতো বেনজেমার; কিন্তু ডি-বক্সে গোল করার মতো পজিশনে থেকেও আরও নিশ্চিত করতে গোলমুখে পাস দেন বেনজেমা। ছুটে এসে হাঁটুর টোকায় শুধু বলের দিক পাল্টে দেন বদলি নামা আসেনসিও।
২৮ ম্যাচে ১৮ জয় ও ছয় ড্রয়ে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রিয়াল। ১ পয়েন্ট কম নিয়ে তিন নম্বরে ২৭ ম্যাচ খেলা বার্সেলোনা।
শীর্ষে থাকা আতলেতিকা মাদ্রিদের পয়েন্ট ৬৩।