এই দুই জনই হাসপাতাল কর্মী এবং তারা অসুস্থ হওয়ার আগের ১৪ দিনের মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়েছিলেন বলে কোপেনহেগেনের সরকারি হাসপাতাল পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ শনিবার জানিয়েছে।
ডেনমার্কের ওষুধ সংস্থা দুটি ‘গুরুতর প্রতিবেদন’ পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে, তবে বিস্তারিত আর কিছু জানায়নি বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ওই দুই হাসপাতাল কর্মী কবে অসুস্থ হয়ে পড়েন সে বিষয়েও বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার মতো বিরল কয়েকটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার প্রতিবেদন পাওয়ার পর ডেনমার্কসহ এক ডজনেরও বেশি দেশ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ব্যবহার সাময়িকভাবে স্থগিত করেছিল। ডেনমার্কে এই টিকার ব্যবহার ১১ মার্চ থেকে বন্ধ আছে।
তারপর থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার সঙ্গে রক্ত জমাট বাঁধার কোনো সম্পর্ক আছে কিনা তা নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেন বিজ্ঞানীরা, বিভিন্ন দেশের সরকারও এ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করে।
বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ইএমএ) রক্ত জমাট বাঁধার প্রতিবেদনগুলো নিয়ে অনুসন্ধান শেষে অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাস টিকাকে ‘নিরাপদ ও কার্যকর’ অ্যাখ্যা দিয়ে বলেছে, এ টিকার ঝুঁকির চেয়ে উপকার অনেক বেশি।
ইএমএর ওই প্রতিবেদন পাওয়ার পর শুক্রবার জার্মানি ও ফ্রান্স অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ব্যবহার স্থগিত করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। তবে একইদিন ডেনমার্ক, সুইডেন ও নরওয়ে জানিয়েছে, এই টিকাটি তারা ব্যবহার করবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তাদের আরও সময় লাগবে।
শনিবার এক টুইটে ডেনিশ মেডিসিন্স এজেন্সির ফার্মাকোভিজিলেন্সের অস্থায়ী পরিচালক তানিয়া এরিকসন বলেছেন, “আমরা এ ধরনের সম্ভাব্য গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় প্রতিবেদনগুলোকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি এবং টিকার সঙ্গে এর সম্ভাব্য কোনো সম্পর্ক আছে কিনা তা নির্ধারণে সেগুলো ভালোভাবে পরীক্ষা করে দেখছি।
“এই দুটি নির্দিষ্ট ঘটনা নিয়েও অনুসন্ধান করছি।”
ইএমএর পরিচালক এমের কুক বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, তাদের প্রতিষ্ঠান রক্ত জমাট বাঁধার ৩০টি ঘটনা নিয়ে অনুসন্ধান করেছে এবং এর সঙ্গে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার সম্পর্ক থাকার বিষয়টি পুরোপুরি বাতিল করতে পারছে না।
কিন্তু এই পর্যালোচনার ‘পরিষ্কার’ সিদ্ধান্ত হচ্ছে, টিকাটির সম্ভাব্য ঝুঁকির চেয়ে মৃত্যু বা হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি থেকে রক্ষা করার উপকার অনেক বেশি।
এই ইস্যুটি আরও বিশ্লেষণের দাবি রাখে বলে জানিয়েছে ইএমএ।