শনিবার বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি
পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে মারা যাওয়া ২৬ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট ৮
হাজার ৬৬৮ জনের মৃত্যু
হল।
আর গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১ হাজার ৮৬৮ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে
করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৬৮ হাজার ৭০৬ জন হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৫৭৭ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর
মোট সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ২০ হাজার ৭১৮ জন হয়েছে।
বাংলাদেশে গত বছর ৮ মার্চ করোনাভাইরাসের
প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ার এক বছর পর গত ৭ মার্চ শনাক্ত রোগীর সংখ্যা সাড়ে ৫ লাখ
ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা
এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের
১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১১ মার্চ
তা সাড়ে আট হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর
খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা
ইতোমধ্যে ১২ কোটি ২৪ লাখ পেরিয়েছে, মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৭ লাখ।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায়
বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩৩ তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৪১তম
অবস্থানে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৮টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ২৯টি
জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ৭২টি র্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ, সর্বমোট ২১৯টি ল্যাবে ১৯ হাজার ৯০০টি নমুনা
পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত
পরীক্ষা হয়েছে ৪৩ লাখ ৮৮ হাজার ১১টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার
বিবেচনায় শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট
শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৯৬ শতাংশ। শনাক্ত
বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫২ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ
পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৩ লাখ ৪৬ হাজার ৮১৪টি।
আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ১০ লাখ ৪১ হাজার ১৯৭টি।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ১৯ জন পুরুষ আর নারী ৭ জন।
তাদের প্রত্যেকেই হাসপাতালে মারা গেছেন।
তাদের মধ্যে ১৩ জনের বয়স ছিল
৬০ বছরের বেশি, ৯ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর, এবং ৪ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছিল।
মৃতদের মধ্যে ১৬ জন ঢাকা
বিভাগের, ৪ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ১ জন করে মোট ৬ জন রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল,
সিলেট, রংপুর এবং ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৮
হাজার ৬৬৮ জনের মধ্যে ৬ হাজার ৫৫১ জনই পুরুষ এবং ২ হাজার ১১৭ জন নারী।
তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৮৪২ জনের
বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ২ হাজার ১৪৩ জনের বয়স ৫১
থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৯৮১ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে,
৪২৭ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৭৩
জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৬৫ জনের বয়স ১১ থেকে ২০
বছরের মধ্যে এবং ৩৭ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।
এর মধ্যে ৪ হাজার ৮৭৪ জন
ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৫৯৪ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৮৬ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৬৯ জন খুলনা বিভাগের,
২৬৪ জন বরিশাল বিভাগের, ৩১৪ জন সিলেট বিভাগের,
৩৬৮ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৯৯ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।