এরপর লিটন দাস জীবন
পেয়ে কিছু লড়াই করলেও পারেননি ইনিংস বড় করতে। দলও তাই ভুগছে।
নিউ জিল্যান্ডের
বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ডানেডিনে শনিবার বাংলাদেশের রান ১৭ ওভারে ৩ উইকেটে
৫৩।
বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে
নামে টস হেরে। প্রথম ওভারে ওভাবে পরাস্ত ও ছক্কার পর দ্বিতীয় ওভারে ম্যাট হেনরিকে দারুণ
এক ফ্লিকে চার মারেন তামিম। তবে বোল্টের আরেকটি আউট সুইঙ্গার অল্পের জন্য তার ব্যাটের
কানা নেয়নি। পাওয়ার প্লেতে বাউন্ডারি ওই দুইটিই।
আউট হওয়া বলটি সুইং
করবে ভেবেই খেলেছিলেন তামিম। কিন্তু বোল্টের ডেলিভারির সোজা গিয়ে লাগে প্যাডে, এলবিডব্লিউ
(১৫ বলে ১৩)। নেননি রিভিউ।
দুই বল পরই বাজে
শটে উইকেট বিলিয়ে ফেরেন সৌম্য (০)। অভিষিক্তি ডেভন কনওয়ে নেন তার প্রথম ক্যাচ।
বাংলাদেশের বিপদ
বাড়তে পারত আরও। নিউ জিল্যান্ডে আগেরবারের সফরে ৩ ওয়ানডে মিলিয়ে ৩ রান করা লিটন এবার
৩ রানে দেন ক্যাচ। কিপার টম ল্যাথাম ঝাঁপিয়ে বলের নাগাল পাননি, প্রথম স্লিপে অভিষিক্ত
ড্যারিল মিচেল সরাসরি হাতে পেলেও জমাতে পারেননি বল।
লিটন এরপর লড়াই চালিয়ে
আশা দেখান দলকে। প্রথম বাউন্ডারির দেখা পান একাদশ ওভারে। যখনই মনে হচ্ছিল তিনি থিতু,
তখনই হতাশাজনক বিদায়। জিমি নিশামের প্রথম ওভারেই শর্ট অব লেংথ বলে আলতো ক্যাচ তুলে
দেন মিড অনে। ইনিংস শেষ হয় ৩৬ বলে ১৯ রান করে।
মুশফিকুর রহিমকে
শুরু থেকেই শর্ট বল করার কৌশল নিয়েছে কিউইরা। বেশ কয়েকবার অস্বস্তিতে পড়লেও তিনি টিকে
আছেন। খেলছেন ৩৫ বলে ১২ রান করে। তার সঙ্গী মোহাম্মদ মিঠুন ১৩ বলে ৫।
বাংলাদেশের হয়ে এই
ম্যাচে অভিষেক হয়েছে অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদি হাসানের। নিউ জিল্যান্ড আগেই ঘোষণা
দিয়েছিল, এই ম্যাচে অভিষেক হবে তিন জনের। প্রথম ওয়ানডে খেলছেন ডেভন কনওয়ে, উইল ইয়াং
ও মিচেল। প্রথম ম্যাচে তারা বিশ্রামে রেখেছে অভিজ্ঞ পেসার টিম সাউদিকে।