ক্যাটাগরি

কোভিড-১৯: ভারতে নভেম্বরের পর প্রথম একদিনে ৪০ হাজারের বেশি রোগী

গত বছর ২৯ নভেম্বরের পর দেশটিতে এটাই সর্বোচ্চ দৈনিক শনাক্ত, জানিয়েছে এনডিটিভি।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে টিকাদান কর্মসূচি চলার মধ্যেই সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেশটির নীতিনির্ধারকদের দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। অনেক রাজ্যই স্কুল বন্ধ, জনসমাগম নিষিদ্ধ, তুলনামূল বেশি আক্রান্ত মিলেছে এমন এলাকায় লকডাউন দেওয়া মতো ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে।

এক বছর আগে প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর ভারতে শনিবার পর্যন্ত এক কোটি ১৫ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১৮৮ মৃত্যু নিয়ে প্রাণঘাতী ভাইরাস এরই মধ্যে দেশটির এক লাখ ৫৯ হাজার ৫৫৮ জনের প্রাণও কেড়ে নিয়েছে। 

মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, কেরালা, কর্ণাটক ও গুজরাটে নতুন কোভিড রোগীর সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে।

এ নিয়ে টানা তিনদিন ভারতে দৈনিক শনাক্ত ৩০ হাজারের বেশি দেখা গেছে। শুক্রবার দেশটি ৩৯ হাজার ৭২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল। গত সপ্তাহ থেকে দেশটিতে প্রতিদিন ২০ হাজারের বেশি পাওয়া যাচ্ছে।

শনিবার ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যে প্রায় ৪১ হাজার রোগী পাওয়ার কথা জানিয়েছে এর ৮০ দশমিক ৬৩ শতাংশই শনাক্ত হয়েছে মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, কর্ণাটক, গুজরাট ও ছত্তিশগড়ে।

শনাক্ত রোগী এবং মৃত্যু বিবেচনায় পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্র এখনও দেশটির অন্য সব অঞ্চলের চেয়ে উপরে অবস্থান করছে।

মহারাষ্ট্রের পার্শ্ববর্তী মধ্য প্রদেশের রাজধানী ভোপালের পাশাপাশি ইন্দোর ও জবলপুরে শনিবার রাত ১০টা থেকে সোমবার ভোর ৬টা পর্যন্ত লকডাউনে যাচ্ছে। এই তিন শহরের স্কুল-কলেজগুলো ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ  ঘোষণা করা হয়েছে।

পাঞ্জাবেও সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রুখতে রাজ্যটিতে আরও নানান বিধিনিষেধও দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার দিল্লিতেও নতুন ৭১৬ কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। শহরটিতে এ বছর একদিনে এর চেয়ে বেশি রোগী দেখা যায়নি। সর্বশেষ গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর ভারতের রাজধানীতে ৭৫৭ জনের দেহে প্রাণঘাতী ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছিল।

পশ্চিমবঙ্গেও জানুয়ারির পর প্রথম ২৪ ঘণ্টায় ৩০০র বেশি রোগী শনাক্ত হল। কলকাতার পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগণায় সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক, বলেছে আনন্দবাজার।