দেশটির সম্প্রচারমাধ্যম এনএইচকে জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার বিকাল ৬টা ২৬ মিনিটে মিয়াগি প্রিফ্যাকচারে ভূমিকম্প আঘাত হানে।
জাপানের ভূতাত্ত্বিক জরিপ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ২, এর উপকেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠের ৬০ কিলোমিটার গভীরে।
এই ভূমিকম্পের ফলে ১ মিটার উচ্চতার সুনামি হতে পারে জানিয়ে সবাইকে উপকূল থেকে দূরে থাকতে বলা হয় এনএইচকের খবরে। পরে ওই সতর্কতা প্রত্যাহার করা হয়।
টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি হোল্ডিংস জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কারণে তাদের ফুকুশিমা দাইচি ও দায়িনি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কার্যক্রমে কোনো বিঘ্ন ঘটেনি।
একই কথা জানানো হয়ে টোহোকু ইলেকট্রিক পাওয়ার কো’স অনগোয়া পারমাণবিক বিদ্যুদ কেন্দ্র থেকেও।
জাপানের উত্তরাঞ্চলে ১০ বছর আগে ২০১১ সালের ১১ মার্চ প্রলয়ঙ্করী এক ভূমিকম্প ও সুনামিতে প্রায় ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়; ধ্বংস হয় বহু শহর, ফুকুশিমায় বিপর্যয় ঘটে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে।
তবে মিয়াগি প্রিফেকচারের কোনো কোনো অংশে বিদ্যুৎ না থাকার কথা বলা হয়েছে টোহোকু ইলেকট্রিক পাওয়ার নেটওয়ার্কের ওয়েবসাইটে।
এনএইচকে জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর টোহোকু শিনকানসেনে বুলেট ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
ইশিনোমাকি শহরের একটি দোকানের কর্মী সিজু অনোডেরা এনএইচকে-কে বলেন, “দীর্ঘক্ষণ ধরে এপাশ-ওপাশ দুলছিল। এমনকি গত মাসের ভূমিকম্পের চেয়েও এটা বেশি সময় ধরে ছিল। তবে অন্তত এখানকার ভবনগুলো টিকে আছে। কাচের বোতল মেঝেতে পরে গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে গেছে।”
এনএইচকের প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, কম্পন শুরু হতেই এক ভবনের ছাদ থেকে আস্তর খসে পড়তে শুরু করে।
উৎপত্তিস্থল থেকে চারশ কিলোমিটার দক্ষিণেও কম্পণ অনুভূত হয়েছে বলে এনএইচকের খবরে জানানো হয়েছে।