ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, স্যান ফ্রান্সিসকো’র এক গবেষণায় উঠে এসেছে, ট্রাম্প এক টুইটে ‘চীনা ভাইরাস’ শব্দটি উল্লেখ করার পর টুইটারে এশিয়ান-বিরোধী হ্যাশট্যাগ ব্যবহার বেড়েছে। গবেষকরা গবেষণায় সাত লাখ টুইট ঘেঁটেছেন বলে উঠে এসেছে সিবিএস নিউজের এক প্রতিবেদনে। সবমিলিয়ে দশ লাখেরও বেশি হ্যাশট্যাগ ছিল টুইটগুলোতে।
গত বছরের মার্চের ১৬ তারিখ ট্রাম্প এক টুইটে লিখেছিলেন, “যুক্তরাষ্ট্র শক্তিশালী থাকবে, এয়ারলাইনস এবং অন্যান্য যা চীনা ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে, সেগুলোকে সমর্থন দেবে। আমরা আগের চেয়েও শক্তিশালী থাকবো।”
গবেষকরা জানিয়েছেন, যেসব টুইটার ব্যবহারকারীরা টুইটে হ্যাশট্যাগ চাইনিজ ভাইরাস ব্যবহার করেছেন, তাদের অন্যান্য বর্ণবাদী হ্যাশট্যাগ ব্যবহারের প্রবণতা বেশি ছিল। অন্যদিকে, যারা কোভিড১৯ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেছেন, তাদের বর্ণবাদী হ্যাশট্যাগ ব্যবহারের প্রবণতা ছিল কম।
“এই ফলাফল মূলত এশিয়ান-বিরোধী অনুভূতি যা আগে ছিল না, তা বেড়ে যাওয়া বিষয়টিকে তুলে ধরছে। বর্ণবাদী শব্দগুচ্ছ কোনো রোগের সঙ্গে ব্যবহারের ফলাফল হিসেবে বর্ণবাদী গোষ্ঠীর কলঙ্কজনক কর্মকাণ্ড আরও বাড়তে পারে।” – বলেছেন ইউসিএসএফ সংক্রামক ব্যাধি এবং বায়োস্ট্যাটিক্সের সহকারী অধ্যাপক ইউলিন হোয়েন।
ইন্টারনেট আর্কাইভে এখনও সংরক্ষিত রয়েছে ট্রাম্পের ওই টুইটের স্ক্রিনশট। এক পর্যায়ে এসে ওই টুইটটি গোটা বিশ্বের ট্রেন্ডিং অংশে চলে এসেছিল। অনেকেই তার ওই টুইটটিকে ‘বর্ণবাদী’ বলে সমালোচনা করেছিলেন সে সময়।
জানুয়ারির ৬ তারিখ ক্যাপিটল হিল আক্রমণের ঘটনা ঘটার পর ট্রাম্পকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করে টুইটার। কিন্তু ট্রাম্প ‘চীনা ভাইরাস’ শব্দটি ব্যবহার করা থামাননি।
হোয়েন বলছেন, “অনেকেই একে [চীনা ভাইরাস] অবমাননাকর শব্দ মনে করেন না, কিন্তু আমাদের প্রমাণ বলছে ভিন্ন কথা, এবং চীনা ভাইরাস শব্দটির সঙ্গে আরও অনেক এশিয়ান-বিরোধী অনুভূতি জড়িত রয়েছে।”
সিবিএস নিউজের প্রতিবেদন বলছে, শুধু গত বছর অন্তত ৩,৮০০ বিদ্বেষমূলক হামলার শিকার হয়েছেন এশিয়ান আমেরিকানরা।