ক্যাটাগরি

পাকিস্তানে দলবেঁধে ধর্ষণের দায়ে ২ ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড

গত বছর এক মহাসড়কের পাশে ওই নারী দলগত ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর পাকিস্তানজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ হয় ও ধর্ষণের কঠোর শাস্তির দাবি ওঠে।

লাহোর শহরের একজন বিচারকের প্রকাশ করা লিখিত রায়ের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, দলগত ধর্ষণ, অপহরণ, ডাকাতি ও সন্ত্রাসবাদের অপরাধে আবিদ মালহি ও শাফকাত হুসেইন দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।

মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া এই দুই ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও জরিমানার শাস্তি দেওয়ার পাশপাশি তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তির নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে এই মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী রউফ ওয়াত্তু রয়টার্সকে জানিয়েছেন।   

সেপ্টেম্বরে ওই নারী দুই সন্তানকে নিয়ে পাঞ্জাবের একটি মহাসড়ক ধরে যাওয়ার সময় তার গাড়ির তেল ফুরিয়ে যায়, তারপরই মহাসড়কের পাশে ধর্ষণের ওই ঘটনা ঘটে।

পরপর কয়েকটি চাঞ্চল্যকর অপরাধের পর এ ঘটনায় দেশজুড়ে ক্ষোভ তৈরি হয়। প্রতিবাদকারীরা রাস্তায় নেমে এসে আইন সংস্কারের এবং নারী ও শিশুদের রক্ষায় আরও কিছু করার দাবি জানায়।

ডিসেম্বরে পাকিস্তান নতুন একটি ধর্ষণ বিরোধী আইন করে। এতে দেশব্যাপী যৌন অপরাধের অভিযোগ দাখিল করার জন্য ও দ্রুত বিচারের জন্য একটি বিশেষ আদালত তৈরি করা হয়।    

করাচিভিত্তিক গোষ্ঠী ‘ওয়ার অ্যাগেনস্ট রেপ’-র ভাষ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানে তিন শতাংশেরও কম যৌন হেনেস্তা ও ধর্ষণ মামলায় কেউ দোষী সাব্যস্ত হয়।

আধিকার আন্দোলনকারী গোষ্ঠীগুলো যৌন নিপীড়িতদের দায় দেওয়ার সংস্কৃতিও শেষ করার আহ্বান জানিয়েছে। সেপ্টেম্বরের ওই ধর্ষণ ঘটনার পর পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রকাশ্যে বলেছিলেন, ওই নারীর কী দরকার ছিল রাতের বেলা শিশুদের নিয়ে একা একা গাড়ি চালানোর।