ক্যাটাগরি

বাসা-থেকে-কাজ আর অফিসের সংখ্যা বাড়ছে সমানতালেই

যুক্তরাষ্ট্রে অফিস এবং ডেটা সেন্টারে সাতশ’ কোটি ডলারের বেশি বিনিয়োগ এবং এ বছরই অন্তত ১০ হাজার স্থায়ী কর্মী নেবে বলে এই বৃহস্পতিবারই ঘোষণা করেছে গুগল।

সিইও সুন্দর পিচাই এক ব্লগ পোস্টে বলেছেন, “জনগোষ্ঠীকে সহায়তা এবং গড়ে তোলার জন্য ব্যক্তিগত পর্যায়ে কাছাকাছি থাকা গুগলের সংস্কৃতির মূল বিষয় এবং এটি ভবিষ্যতেও প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হিসেবে থাকবে। ফলে সারাদেশে আমাদের অফিসগুলোয় আমরা উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ চালিয়ে যাচ্ছি।”

গুগল এ বছরই নিজ রাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ায় এক বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করবে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে সিএনএন। আটলান্টা, ওয়াশিংটন, ডিসি, শিকাগো এবং নিউ ইয়র্কে হাজার হাজার চাকরি যোগ করার পাশাপাশি এই ওয়েব জায়ান্ট অফিসের সংখ্যাও বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে।

গুগল এই বছর নিউ ইয়র্ক সিটিতে আড়াইশ’ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে এবং আগামী কয়েক বছরে এই শহরে কর্মী সংখ্যা বাড়িয়ে ১৪ হাজারে নেবে বলে মেয়র বিল ডি ব্লেসিও ঘোষণা করেছেন বৃহস্পতিবার। এখানে গুগলের কর্মী সংখ্যা বর্তমানে ১১ হাজার।

করোনাভাইরাস যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলে সিলিকন ভ্যালির সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠানগুলির অন্যতম ছিল গুগল যারা কর্মচারীদের জন্য বাসা-থেকে-কাজের সুযোগ দেয়। এখন, এই প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে কেউ কেউ তাদের অফিসের জায়গা বাড়ানোয় একেবারে আগ্রাসী উদ্যোগ নিয়েছে।

গত বছরই, ফেইসবুক একদিকে জানিয়েছে যে, তারা সামনের বছরগুলিতে আরও বেশি সংখ্যক কর্মীকে বাসা-থেকে-কাজ করাতে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে, অপরদিকে প্রতিষ্ঠানটি একটি অব্যবহৃত কর্পোরেট সদর দফতর ভবন কেনার উদ্যোগ নিয়েছে। ফেইসবুক প্রধান মার্ক জাকারবার্গ বলেছেন, তিনি আগামী পাঁচ থেকে দশ বছরের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের অর্ধেক কর্মীই স্থায়ীভাবে বাসা-থেকে কাজ করতে দেখবেন বলে অনুমান করছেন।

অ্যামাজন গত শরতের দিকে বিভিন্ন মার্কিন শহরে আরও সাড়ে দিন হাজার কর্মী নেওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান নিউ ইয়র্ক, ডালাস, ডেট্রয়েট, ডেনভার, ফিনিক্স এবং সান ডিয়েগোতে অফিস বাড়াবে, যার ফলে নয় লাখ বর্গফুটেরও বেশি অফিস স্পেস দরকার হবে।